Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

কেন্দ্রীয় অনলাইন ভাবছেন না পার্থ

শিক্ষামন্ত্রী জানান, ছাত্র ভর্তিতে টাকার খেলা চলছে কিনা স্বচক্ষে দেখতে তিনি নিজে বিভিন্ন কলেজে যাচ্ছেন। এ দিন আশুতোষ কলেজে গিয়েছিলেন। সংশ্লিষ্ট থানাতেও খোঁজ নেন। তবে টাকা নিয়ে ছাত্র ভর্তির অভিযোগ পাননি বলেই জানান পার্থবাবু।

রাজ্য সরকার ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাতে  আগ্রহী।— ফাইল চিত্র।

রাজ্য সরকার ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাতে আগ্রহী।— ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০১৭ ০৪:৫০
Share: Save:

কলেজে কলেজে ছাত্র ভর্তিতে টাকার খেলা এবং অস্বচ্ছতা রুখতে কেন্দ্রীয় অনলাইন ভর্তি চালুর দাবি বারবারই উঠছে। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় কিন্তু বুধবার স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, এ নিয়ে কোনও ভাবনা এখন নেই।

প্রসঙ্গত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ভাবে কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া চালানো প্রসঙ্গে মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিই টাকাপয়সা নিয়ে গণ্ডগোলের বড় জায়গা। রাজ্য সরকার বরং ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাতে আগ্রহী। এদিন ফের কেন্দ্রীয় ভাবে অনলাইন ভর্তির কথা উঠতেই তিনি বলেন, ‘‘এ রকম কোনও ভাবনা আমাদের নেই। আমরা দেখব। যদি দেখি প্রয়োজন আছে, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের পড়ুয়াদের প্রয়োজন আছে, সে সব দেখে বিবেচনা করা হবে।’’

শিক্ষামন্ত্রী জানান, ছাত্র ভর্তিতে টাকার খেলা চলছে কিনা স্বচক্ষে দেখতে তিনি নিজে বিভিন্ন কলেজে যাচ্ছেন। এ দিন আশুতোষ কলেজে গিয়েছিলেন। সংশ্লিষ্ট থানাতেও খোঁজ নেন। তবে টাকা নিয়ে ছাত্র ভর্তির অভিযোগ পাননি বলেই জানান পার্থবাবু। ভর্তি নিয়ে সরকারি হেল্পলাইনে এখনও কেউ নালিশ করেনি। তবে গড়িয়ার দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজে মেধাতালিকায় নাম থাকা এক ছাত্রীকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যেরা কলেজে ভর্তি হতে ঢুকতে দেয়নি বলে অভিযোগ। বিষয়টি ওই ছাত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছিলেন। শিক্ষামন্ত্রী জানান, সেই ছাত্রীকে নিয়ে তিনি অ্যান্ড্রুজ কলেজে গিয়েছিলেন। তবে ছাত্রীটি সেখানে আর ভর্তি হননি।

টাকা নিয়ে ভর্তির বিষয়টি যে বরদাস্ত করা হবে না, সে কথা এদিনও জোর দিয়ে বলেন শিক্ষামন্ত্রী। অভিযোগ থাকলে যেন তাঁকে জানানো হয়। এদিন কলেজ কর্তৃপক্ষকেও কঠোর হতে বলেন তিনি। ভর্তির সময় কলেজে বহিরাগতের প্রবেশ আটকানোর চেষ্টা করতে গিয়ে শনিবারই ফোনে খুনের হুমকি পেয়েছেন চন্দননগর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশিস সরকার। এদিন বিধাননগর সরকারি কলেজেও ভর্তিকে ঘিরে শিক্ষক নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে। ওই কলেজের শিক্ষক ইমানুল হকের অভিযোগ, ভর্তির প্রক্রিয়া কয়েক জন বাধা দেওয়ায় তিনি প্রতিবাদ করেন। তখনই তিনি নিগ্রহের মুখে পড়েন। স্থানীয় থানায় এ বিষয়ে অভিযোগও দায়ের করেছেন ওই শিক্ষক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE