সরব: ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার।
হাওড়া পুরসভার এক মেয়র পারিষদ বলেছিলেন, সবচেয়ে ভাল দেরাদুন চালের ফ্রায়েড রাইস আর ডিমের ঝোল খাওয়ানো হবে। সেই খবর প্রকাশিত হতেই ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘দেরাদুন রাইস! আমরা ১২ টাকায় ডিমের ঝোল-ভাত খাওয়াব।’’ শুক্রবার তাই হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে তৃণমূলের ছাত্র-যুব সম্মেলনে মেনু বদলে গেল সাদামাটা ডিম-ভাতেই! জেলা সভাপতি (শহর) অরূপ রায় জানালেন, ‘‘মাথাপিছু ৮ টাকাতেই খাওয়ার খরচ মিটে গিয়েছে।’’ অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রীর বরাদ্দ হিসেবের থেকেও চার টাকা কম।
অথচ সব থেকে ভাল দেরাদুন চালের ফ্রায়েড রাইস এবং ডিম খাওয়ানোর কথা দু’দিন আগে জানিয়েছিলেন হাওড়ার মেয়র-পারিষদ শ্যামল মিত্র। সেটা হল না কেন? শ্যামলবাবুর উত্তর, ‘‘জেলা সভাপতি অরূপবাবু যা বলার বলবেন।’’ একই প্রশ্নে জেলা সভাপতি বলেন, ‘‘দেরাদুন রাইসের কথা কখনও হয়নি। কে, কখন কী বলেছেন জানি না।’’
অতএব, পাতে রইল একটা ডিম, দু’টুকরো আলু আর দু’হাতা ভাত! দক্ষিণবঙ্গের ১৭টি জেলা থেকে আসা ৪০ হাজারেরও বেশি কর্মীর জন্য রূপোলি ফয়েলে এটুকুই দুপুরের ভোজ। বেলা ১টায় সভা শুরুর আগেই হাতে হাতে দেওয়া হল সেই খাবারের প্যাকেট। স্টেডিয়ামের চাঁদোয়া-ঢাকা মাঠে আসা সমর্থকদের শুধু ডিম-ভাত যে খাওয়ানো হয়েছে, তা জানাতে মমতা বলেন, ‘‘যখন কিছু করতে পারি না, তখন কোনওমতে ডিম-ভাতটা খাই। ওরা তা-ই খেয়েছে। সারাদিন লোক থাকবে। না খেয়ে শুকোবে নাকি!’’
এ দিনের খাবার ও প্যান্ডেলের খরচ দলের কর্মীদের চাঁদায় করা হয়েছে বলে পরে জানান তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কর্মীদের থেকে ২০টাকা করে চাঁদা নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। চাঁদার যে টাকা উদ্বৃত্ত থাকবে তা পরের কোনও সমাবেশে ব্যবহার করা হবে বলে পার্থবাবু জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy