Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

ভরা কোর্টে আত্মাহুতির চেষ্টা বৃদ্ধের

আইনজীবীদের পাশে দাঁড়ানো অশীতিপর এক বৃদ্ধ আচমকা প্লাস্টিকের বোতলের ছিপি খুলে গায়ে পেট্রোল ঢালতে শুরু করলেন। তার পর পাঞ্জাবির পকেট থেকে লাইটার বার করে গায়ে আগুন দেওয়ার উপক্রম করলেন তিনি।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০১৭ ০৪:১৮
Share: Save:

শুনানি চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। সওয়াল করছেন কৌঁসুলিরা।

আইনজীবীদের পাশে দাঁড়ানো অশীতিপর এক বৃদ্ধ আচমকা প্লাস্টিকের বোতলের ছিপি খুলে গায়ে পেট্রোল ঢালতে শুরু করলেন। তার পর পাঞ্জাবির পকেট থেকে লাইটার বার করে গায়ে আগুন দেওয়ার উপক্রম করলেন তিনি। সম্বিৎ ফিরতেই কিছু আইনজীবী জড়িয়ে ধরলেন বৃদ্ধকে। এক জন তাঁর হাত থেকে কেড়ে নিলেন লাইটার।

মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রে ও বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে। হইচই শুরু হয়ে যায়। চলে আসে পুলিশ। আইনজীবীদের একাংশ ও পুলিশ এজলাসের বাইরে নিয়ে যান বৃদ্ধকে। তখন তিনি বিড়বিড় করছেন: ‘‘আমি গরিব বলে সব জায়গায় আমায় হারিয়ে দিল।’’

আরও পড়ুন: পেঁয়াজ-সহ আনাজ আগুন, কাল বৈঠক মমতার

পুলিশ জানায়, দু’বছর আগেও হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের অফিসের বাইরে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন গণেশ ওরফে শঙ্কর মাঝি নামে ওই বৃদ্ধ। ১৯৩৭-এ জন্ম। আশির দশকে সুইচ গিয়ার অ্যাসোসিয়েটস কোম্পানির ট্রাস্টি বোর্ড তাদের বন্ধ কারখানার জমির কেয়ারটেকার করেছিল তাঁকে। বৃদ্ধের অভিযোগ, বোর্ড-প্রধান তাঁকে কারখানার তিন কাঠা জমিতে বাড়ি করে থাকতে দেন। ৩ নম্বর বীরেন রায় রোড (পশ্চিম)-এর সেই জমি থেকে তাঁকে উৎখাত করে প্রোমোটার। পুলিশ জানায়, ২০০৮ থেকে আলিপুরের দেওয়ানি, জেলা জজের আদালতে মামলায় হেরে বৃদ্ধ পৌঁছন হাইকোর্টে। হেরে যান সেখানেও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE