প্রতীকী ছবি।
প্রচারে পঞ্চায়েত উন্নয়নের ঢালাও প্রতিশ্রুতি। সবকটি রাজনৈতিক দলই নিজেদের সমর্থনে নির্বাচনের আগে উন্নয়নের কথা বলেন। ভোট মিটলে তার কতটা বাস্তবায়িত হবে, সেটাই এখন দেখার। আগামী ২৯ জানুয়ারি নোয়াপাড়ায় উপনির্বাচনের আগে পথে প্রচারে পাখির চোখ পঞ্চায়েত।
নোয়াপাড়া বিধানসভায় দু’টি পঞ্চায়েত। শিউলি ও মোহনপুর। সবকটি দলেরই এই দু’টি পঞ্চায়েত দখলে এ বার বেশি নজর। তার কারণ নোয়াপাড়া বিধানসভায় এই দুই পঞ্চায়েত বড় ভোট ব্যাঙ্ক হওয়া সত্ত্বেও উন্নয়নের নিরিখে অনেকটা পিছিয়ে। পাশাপাশি উত্তর ব্যারাকপুর ও গারুলিয়া পুর এলাকায় বিধায়ক তহবিল থেকে যে পরিমাণ টাকা খরচ করা হয়েছে ও উন্নয়ন হয়েছে শিউলি, মোহনপুরে তার কণামাত্রও হয়নি।
২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে তিনবারের তৃণমূল বিধায়ক মঞ্জু বসুকে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন কংগ্রেস ও সিপিএমের জোট প্রার্থী মধুসূদন ঘোষ। মধুবাবু জয়ী হওয়ার পর এক বছরের মধ্যে পঞ্চায়েতগুলিতে রাস্তা, নিকাশির উন্নয়নে নব্বই লক্ষ টাকা খরচ করেছেন। কংগ্রেসের প্রচারের হাতিয়ার তাই মধুবাবুর পঞ্চায়েতে উন্নয়ন। কংগ্রেস প্রার্থী গৌতম বসু বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রচার শুরু করেছেন মধুবাবুর পঞ্চায়েত এলাকার উন্নয়নের খতিয়ান নিয়ে। সিপিএমও হাতিয়ার করেছে মধুবাবুর অনুন্নত এলাকার উন্নয়নকে। বৃহস্পতিবার গারুলিয়ায় সিপিএম প্রার্থী গার্গী চট্টোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচারে গিয়ে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক তথা পলিটব্যুরোর সদস্য সূর্যকান্ত মিশ্র বলেছিলেন, ‘‘জোট প্রার্থী হয়ে যিনি জিতেছিলেন তাঁর ঐতিহ্য রক্ষার লড়াই আমাদের।’’
পিছিয়ে নেই শাসকদলও। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে এই উপনির্বাচন হওয়ায় শিউলি ও মোহনপুর পঞ্চায়েতের উন্নয়নে জোর দেওয়ার কথা বলছেন তৃণমূল প্রার্থী সুনীল সিংহ। শিউলিতে পঞ্চায়েতে দুর্নীতির অভিযোগে প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিলেন অধিকাংশ সদস্য। প্রধান ইস্তফা দিয়েছেন। উপপ্রধান চিটফান্ড জালিয়াতির দায়ে অভিযুক্ত এবং পলাতক। ফলে পঞ্চায়েতের স্বাভাবিক কাজকর্মই থমকে গিয়েছে উন্নয়নতো দূর অস্ত।
মোহনপুর পঞ্চায়েতেও শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর কাজিয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ বারের উপ নির্বাচনে পঞ্চায়েত পাখির চোখ করে ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু করেছেন তৃণমূল প্রার্থী-সহ শাসকদলের নেতারা। তৃণমূল প্রার্থী বলেন, ‘‘গতবারের হারটা আমাদের কাম্য ছিল না। মানুষও বুঝতে পেরেছেন। আমাদের উপর আস্থা রাখছেন। তাই পঞ্চায়েতের উন্নয়নের বিষয়টি আমাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ।’’
বিজেপি আনুষ্ঠানিক ভাবে রবিবার মঞ্জু বসুর নাম ঘোষণা করে। কিন্তু তিনি প্রার্থী হতে চাইছেন না বলে এক সূত্রের খবর। বিজেপির উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক ফাল্গুনী পাত্র বলেন, ‘‘আমাদের প্রধান লক্ষ্য পঞ্চায়েতের দুর্নীতি রুখে রাস্তা, নিকাশি, জলের সমস্যাগুলি দ্রুত মেটানো।’’ এখন দেখার পঞ্চায়েতের ভোট ব্যাঙ্কের সমর্থন কোন দিকে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy