দাঁতালের রোষে এ ভাবেই প্রাণ গিয়েছিল সিদ্দিকুল্লার। নিজস্ব চিত্র
হাতির হানায় মৃত্যু হলে মৃতের পরিবার যাতে দ্রুত ক্ষতিপূরণের টাকা পায়, সে ব্যাপারে গত বুধবারই উত্তরকন্যার প্রশাসনিক বৈঠকে বনকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কিন্তু তার একদিন পরই লাটাগুড়িতে দাঁতালে পায়ে পিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষতিপূরণ পাওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হল। বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পরেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁরা৷ বন দফতরের এই মনোভাবে ক্ষুব্ধ নিহত বেসরকারি রক্ষীর পরিবার৷
বন দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, বনের বাইরে হাতির হানায় কারও মৃত্যু হলে তার পরিবারকে আড়াই লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়ে থাকে৷ সাধারণত মৃতদেহ সৎকারের আগেই এর ৭৫ শতাংশ টাকা পরিবারের লোকেরা পেয়ে যান৷ বাকি ২৫ শতাংশ মেলে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট মেলার পরে৷
এ ক্ষেত্রে কেন সংশয় তৈরি হল? শনিবার বনমন্ত্রী বলেন, ‘‘লাটাগুড়ির ঘটনার ভিডিও দেখে মনে হচ্ছে ওটা আত্মহত্যা৷ ওই ব্যক্তি পুরোপুরি স্বাভাবিক ছিলেন বলেও মনে হয় না৷ তাই ময়নাতদন্তের রিপোর্টে চিকিৎসকেরা কী বলেন, তা দেখেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷’’
দফতরের এক কর্তা আবার বলেন, নিয়মে বলা রয়েছে বনের বাইরে হাতির হানায় এই ক্ষতিপূরণ মেলা সম্ভব৷ কিন্তু লাটাগুড়িতে বনের ভিতরের রাস্তাতেই এই ঘটনাটি ঘটেছে৷ তাই দফতরের শীর্ষকর্তারাই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন৷
বন দফতরের এই মনোভাবে বেজায় ক্ষুব্ধ মৃত সাদ্দিক হোসেনের পরিবার৷ নিহতের ভাই মোতিবর রহমান বলেন, ‘‘আমার দাদা কখনওই আত্মহত্যা করতে পারেন না৷ তা ছাড়া উনি কোনও নেশাও করতেন না৷ ফলে অস্বাভাবিক থাকার কোন প্রশ্নই নেই৷’’ তার পাল্টা অভিযোগ, টাকা আনা-নেওয়ার গাড়িতে থাকা ব্যাঙ্কের কর্মীরাই তাঁর দাদাকে হাতির সামনে ঠেলে দিয়েছিলেন৷ যাতে করে বন্দুক উঁচিয়ে তিনি হাতি তাড়াতে পারেন৷ ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে শীঘ্রই পুলিশে অভিযোগ করা হবে বলেও এ দিন হুঁশিয়ারি দেন মোতিবর রহমান৷ যদিও এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন ব্যাঙ্কের কর্তারা৷
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy