বেআইনি অর্থ লগ্নি সংস্থা পিনকনের কর্ণধার মনোরঞ্জন রায়ের স্ত্রী এবং সংস্থার অন্য এক কর্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে তারাই। এখন মনোরঞ্জন-সহ অন্য চার কর্তাকেও নিজেদের হেফাজতে পেতে চাইছে রাজ্যের অর্থনৈতিক অপরাধ দমন শাখা (ইওডব্লিউ)। সেই জন্য বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক আদালতে আবেদনও জানানো হয়েছে।
পিনকন-প্রধান মনোরঞ্জন-সহ চার জনকে এ দিন অবশ্য জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন রাজস্থানের জয়পুর সিএমএম আদালতের বিচারক। জয়পুর পুলিশের স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ বা এসওজি-র অফিসারেরা অভিযুক্তদের ওই আদালতে তোলেন।
রাজ্যের অর্থনৈতিক অপরাধ দমন শাখা মনোরঞ্জনের স্ত্রী মৌসুমি রায় এবং পিনকনের অন্যতম ডিরেক্টর ললিতা সারোগিকে গ্রেফতার করে সোমবার। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলায় এ বার আমানতকারীদের গোপন জবানবন্দি নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেছে ইওডব্লিউ। চড়া হারে সুদের টোপে টাকা তুলে সেই টাকার একাংশ তছরুপ করা হয়েছে এবং অন্য অংশ পিনকনের মদের ব্যবসায় লাগানো হয়েছে বলে অভিযোগ। ধৃতদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
তদন্ত সংস্থার খবর, বরাহনগর, ডানকুনি, মধ্যমগ্রাম, আসানসোল ও রাজারহাটে পিনকনের স্পিরিট তৈরির কারখানা এবং ডানকুনিতে তেল কারখানা সিল করে দেওয়া হয়েছে। শুধু স্পিরিট ও তেল কারখানা নয়, পিনকন-কর্তার বাঘা যতীনের দু’টি বাড়ি, বালিগঞ্জ এলাকায় একটি অতিথি নিবাস, চুঁচুড়া ও এগরার দু’টি হাউসিং কমপ্লেক্সও সিল করা হয়েছে বলে জানান তদন্তকারীরা। পিনকনের ১৩৩টি অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করতে আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy