প্রতীকী ছবি।
বেআইনি গাঁজা, মদ ধরাই তাঁদের মূল কাজ। গাঁজা ভর্তি লরি ধরেও ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে সেই আবগারি দফতরের এক যুগ্ম কমিশনার সমর স্বর্ণকারকে গ্রেফতার করল দফতরই। মাদক পাচারকারীদের মতো তাঁর বিরুদ্ধেও একই ধারায় মামলা করা হয়েছে।
দফতর সূত্রের খবর, বুধবার সমরবাবুকে গ্রেফতার করে কৃষ্ণনগর আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি কোনও দায়িত্ব না দিয়ে তাঁকে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। অভিযোগ, এর আগে বার দুয়েক আদালত থেকে তাঁকে ডেকে পাঠানো হলেও তিনি হাজির হননি।
আবগারি দফতরের কৃষ্ণনগর বিভাগের যুগ্ম কমিশনার ছিলেন সমরবাবু। দফতর সূত্রের খবর, তাঁর বিরুদ্ধে গত বেশ কিছুদিন ধরে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছিল। সেকারণে মাস চারেক আগে তাঁকে কৃষ্ণনগর থেকে সরিয়ে বসিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছিলেন দফতরেরই অফিসারেরা। সেই অভিযোগ আদালতেও দায়ের করা হয়।
আবগারি দফতর সূত্রের খবর, গত বছরের সেপ্টেম্বরে রাঁচির আবগারি দফতর থেকে খবর আসে এ রাজ্যের আবগারি কর্তাদের কাছে। জানা যায়, ১৮০ কিলোগ্রাম গাঁজা ভর্তি একটি লরি রাঁচি থেকে কৃষ্ণনগর হয়ে কলকাতায় আসছে। খবর পেয়ে হানা দেন আবগারি অফিসারেরা। দফতর সূত্রের খবর, সেই দলে সমরবাবুও ছিলেন। ১৮ লক্ষ টাকার সেই গাঁজা ধরাও হয় ৫ সেপ্টেম্বর। অভিযোগ, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সমরবাবু জানান, মাত্র ২০ কিলোগ্রাম গাঁজা ধরা পড়েছে। অভিযোগ, সেই গাঁজাটুকু বাজেয়াপ্ত করে বাকি গাঁজা ছেড়ে দেন তিনি।
আইন অনুযায়ী, ধৃত ব্যক্তির থেকে পাওয়া মাদকের পরিমাণের উপরে সাজার মেয়াদ অনেকাংশেই নির্ভর করে। অভিযোগ, গাঁজা পাচারকারীর যাতে বেশি সাজা না হয়, তাই বাজেয়াপ্ত গাঁজার পরিমাণ কম দেখানো হয়। সে দিন অন্য যে অফিসারেরা ওই অভিযানে ছিলেন, তাঁদেরও শো-কজ করা শুরু হয়। পরে তাঁরাই লিখিত ভাবে জানান, যুগ্ম কমিশনারের নির্দেশেই ওই কাজ করা হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy