জমায়েত: দিল্লিতে মৎস্যজীবী দিবসের অনুষ্ঠান। —নিজস্ব চিত্র।
বিশ্ব মৎস্যজীবী দিবস উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠান হল মঙ্গলবার। দিল্লির পার্লামেন্ট স্ট্রিটে বিশ্ব মৎস্যজীবী দিবসের অনুষ্ঠানে প্রতিনিধিত্ব করেন দক্ষিণবঙ্গ মৎস্যজীবী ফোরামের ৫০ জন প্রতিনিধি। কাঁথি মহকুমা খটি মৎস্যজীবী ইউনিয়নের প্রতিনিধিরাও এদিন দিল্লির অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। এ দিনের এই বিশেষ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ক্যারাবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের মৎস্যজীবী নেত্রী নাদিন। দক্ষিণবঙ্গ মৎস্যজীবী ফোরামের সহ-সভাপতি, কাঁথির মৎস্যজীবী নেতা দেবাশি, শ্যামল বলেন, “দেশ-বিদেশের প্রায় দু’হাজার মৎস্যজীবী দিল্লির অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বিশাল র্যালি হয়। বিভিন্ন রাজ্যের পাশাপাশি বাংলার মৎস্যজীবীরাও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেরেন।’’ উল্লেখ্য, সোমবারই দিল্লিতে শেষ হয়েছে বিশ্ব মৎস্যজীবী ফোরামের সপ্তম সাধারণ সভা। ১৫ নভেম্বর এই কর্মসূচি শুরু হয়েছিল।
সারা বিশ্বের ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীদের স্বার্থ সুরক্ষিত করতে ১৯৯৭ সালের ২১ নভেম্বর দিল্লিতে গঠিত হয়েছিল ‘বিশ্ব মৎস্যজীবী ফোরাম’। বাংলার মৎস্যজীবী নেতা প্রয়াত হরেকৃষ্ণ দেবনাথ এবং কেরলের মৎস্যজীবী নেতা টমাস কোচারি মৎস্যজীবীদের এই ফোরাম গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন। সেই দিনটি স্মরণে কাঁথি মহকুমা জুড়েও বিশ্ব মৎস্যজীবি দিবস পালিত হয়েছে। হরিপুর মৎস্য খাটিতে পতাকা উত্তোলন করেন কাঁথি মহকুমা খটি মৎস্যজীবী উন্নয়ন সমিতির সহ-সম্পাদক শেখ আজিজুল আলি। কাঁথি মহকুমার মৎস্যজীবী নেতা লক্ষ্মীনারায়ণ জানা বলে, ‘‘মৎস্যজীবীদের স্বার্থ সুরক্ষিত করতে সংগঠনকে আরও মজবুত করতে হবে।’’
বিশ্ব মৎস্যজীবী দিবসে আবার মাছের রোগ নিয়ে হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হল ৫৯জন মৎস্যজীবীকে। মঙ্গলবার হলদিয়া ব্লকের কাষ্ঠখালি গ্রামে নারায়ণ ভুঁইয়ার পোনা মাছ চাষের খামারে এই কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন বাড় উত্তর হিংলি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বারিক মান্না, উপপ্রধান ওহাব আলি প্রমুখ। কর্মশালায় প্রশিক্ষণ দেন পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও মৎস্য রোগ বিশেষজ্ঞ গদাধর দাস, হলদিয়া ব্লকের মৎস্য সম্প্রসারণ আধিকারিক সুমন সাহু। কর্মশালায় মাছ কেটে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দেখিয়ে নানা রোগ নিয়ে আলোচনা হয়। এতে উপকার হবে বলেই জানিয়েছেন প্রশিক্ষণ শিবিরে সামিল হওয়া মৎস্যজীবীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy