ভাস্কর ঘোষ। ছবি: ভাস্কর ঘোষের ফেসবুক প্রোফাইল সৌজন্যে।
বেশ কয়েক দিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন। চিকিৎসাও চলছিল। কিন্তু, শেষ রক্ষা হল না। শনিবার সকালে বেলঘরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হল ফুটবল খেলোয়াড় ভাস্কর ঘোষের (৩৬)। তাঁর ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসাবে স্পষ্ট ভাবে ‘ডেঙ্গি’ শব্দটি লেখা রয়েছে।
ভাস্করের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহের রবীন্দ্রপল্লিতে। তাঁর পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে, দিন দশেক ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। প্রথমে স্থানীয় বলরাম সেবা মন্দির স্টেট জেনারেল হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা তাঁর রক্ত পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন। এর পর জানা যায়, ভাস্করের রক্তে অনুচক্রিকা (প্লেটলেট)-র পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় বেশ কম। তাঁকে এর পর ব্যারাকপুরের একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: রাজ্য নেতৃত্ব পাশে নেই, ক্ষুব্ধ মুকুল
আরও পড়ুন: ডেঙ্গি-তথ্য নিয়ে প্রশ্ন আদালতে
ওই নার্সিংহোমে থাকা অবস্থাতেই তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির কোনও উন্নতি না হওয়ায়, ভাস্করকে কামারহাটিতে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। সেখানেও রক্ত পরীক্ষা করে দেখা যায়, তাঁর রক্তে এনএস-১ পজিটিভ। ওই চিকিৎসার পরিকাঠামো না থাকায় ভাস্করকে অন্য কোথাও স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এর পরেই তাঁর পরিবারের লোকজন ওই ফুটবলারকে নিয়ে পানিহাটির একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যান। কিন্তু, পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় তাঁকে ওই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন।
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে ডেঙ্গি আক্রান্ত ভাস্কর।—ফাইল চিত্র।
এ দিন সকালে ভাস্করকে তাই নিয়ে যাওয়া হয় বেলঘরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে ভর্তি করানোর পরেই ভাস্করের মৃত্যু হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁর রক্তে অনুচক্রিকার পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই কম ছিল। এবং ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েই ভাস্করের মৃত্যু হয়েছে।
কোনও নির্দিষ্ট ক্লাবে না খেললেও এলাকায় ফুটবলার হিসাবে ভাস্করের বেশ সুনাম ছিল। বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে ঘুরেফিরে খেপ খেলে বেড়াতেন। সকলেরই বেশ প্রিয় ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে গোটা এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া নেমেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy