Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

বিমলের পাড়ায় ভস্মীভূত ৪টি বাড়ি

পাতলেবাস গুরুঙ্গের খাসতালুক বলেই পরিচিত। শুক্রবার ভোরেই গুরুঙ্গকে ধরতে এই পাতলেবাসের নীচে সিংলার জঙ্গলে গুলিযুদ্ধ চলে। তাতে পুলিশের এক সাব ইন্সপেক্টর মারা গিয়েছেন।

খাক: পাতলেবাসে আগুনে পুড়ে যাওয়া বাড়িঘর। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।

খাক: পাতলেবাসে আগুনে পুড়ে যাওয়া বাড়িঘর। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দার্জিলিং ও শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:৪৪
Share: Save:

গভীর রাতের আগুনে পুড়ে গেল দার্জিলিঙের পাতলেবাসে বিমল গুরুঙ্গের বাড়ির পাশের চারটি বাড়ি। সব ক’টি বাড়িই মোর্চা সভাপতি গুরুঙ্গের ঘনিষ্ঠদের। তবে ক’মাসের পুলিশি অভিযানের পর থেকে সকলেই বাড়ি ছাড়া। শনিবার রাতে ফাঁকা বাড়িগুলিতে কী ভাবে আগুন ধরল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে। একটি রেশন দোকানও পুড়েছে। দমকলের অনুমান, তেল জাতীয় কিছু ছিটিয়ে আগুন ধরানো হয়েছে। বাড়িগুলোর কিছুটা অংশ কাঠ, বাকিটা কংক্রিটের।

পাতলেবাস গুরুঙ্গের খাসতালুক বলেই পরিচিত। শুক্রবার ভোরেই গুরুঙ্গকে ধরতে এই পাতলেবাসের নীচে সিংলার জঙ্গলে গুলিযুদ্ধ চলে। তাতে পুলিশের এক সাব ইন্সপেক্টর মারা গিয়েছেন। এ দিনের ঘটনার সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে কারা কেন আগুন লাগালো, তা পুলিশ এখনও বলতে পারছে না।

স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েক জনের অভিযোগ, পাহাড়ের আলোচনাপন্থী নেতা বিনয় তামাঙ্গের অনুগামীরা এই কাজ করেছেন। দু’টি বাড়িতে ভাঙচুরও করা হয়। কয়েক জন রাতে গুলির শব্দ শুনে বেরিয়ে আগুন দেখতে পান। দমকলে খবর দেওয়া হয়। তবে তা ভোরের আগে আসেনি বলে অভিযোগ। পুলিশের অবশ্য দাবি, এলাকায় নিয়মিত অভিযান হচ্ছিল, তাই তথ্য প্রমাণ নষ্ট করতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হতে পারে। তাই ঘটনার দমকলের তদন্ত ছাড়াও ফরেনসিক, সিআইডি তদন্ত করা। তামাঙ্গও ঘটনার তদন্ত হবে বলে জানান।

এ দিন, সিংলার জঙ্গলে যান পুলিশকর্তারা। এডিজি উত্তরবঙ্গ সিদ্ধিনাথ গুপ্ত জানান, সেখানে বসেই পাহাড়ে নাশকতার ছক তৈরি হচ্ছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE