নিখোঁজ হওয়ার পর পেরিয়ে গিয়েছে চারটে দিন। বাঙালি পর্বতারোহী গৌতম ঘোষ ও পরেশ নাথকে মৃত বলেই ঘোষণা করল নেপাল সরকার।
এভারেস্ট দুর্ঘটনার ঠিক আগেই, ধৌলাগিরি শৃঙ্গ অভিযানে গিয়ে ১৯ তারিখ মারা গিয়েছিলেন পর্বতারোহী রাজীব ভট্টাচার্য। ক্যাম্প থ্রি-এর নীচে তাঁর দেহ উদ্ধার করতে পেরেছেন শেরপারা। ধৌলাগিরি বেসক্যাম্প থেকে দেবদাস নন্দী জানিয়েছেন, বুধবার বিকেলেই ক্যাম্প থ্রি পর্যন্ত নেমেছেন তাঁরা। আবহাওয়া ভাল থাকলে বৃহস্পতিবার সকালে রাজীবের দেহ নিয়ে হেলিকপ্টারে কাঠমান্ডু পৌঁছবেন।
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যুবকল্যাণ দফতরের মুখ্যসচিব সৈয়দ আহমেদ বাবা, যুগ্মসচিব
মুকেশ সিংহ ও পর্বতারোহণ শাখার উপদেষ্টা উজ্জ্বল রায় মঙ্গলবার সকালে পৌঁছে গিয়েছেন কাঠমান্ডু। পর্বতারোহী দীপঙ্কর ঘোষ রবিবার থেকেই আছেন সেখানে। উজ্জ্বলবাবু জানালেন, গৌতম ও পরেশের মৃত্যু ঘোষণা করলেও সরকারি নথি
এখনও হাতে আসেনি। তবে
নেপালের সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, তিন দিন পেরিয়ে গেলেই মৃত বলে ঘোষণা করা হয় নিখোঁজ অভিযাত্রীদের। ক্যাম্প ফোরের নীচে, ইয়েলো ব্যান্ডের কাছে মৃত অভিযাত্রী সুভাষ পালের দেহও এখনও নামিয়ে আনা যায়নি বেসক্যাম্পে।
তবে ছ’জন দক্ষ শেরপার একটি দল তৈরি করা গিয়েছে কাঠমান্ডুর পর্বতারোহণ আয়োজক সংস্থার তরফে। বুধবারই এভারেস্ট বেসক্যাম্প পৌঁছে গিয়েছেন তাঁরা। আবহাওয়া ভাল থাকলে হেলিকপ্টারে করে ক্যাম্প টু উড়ে যাবেন বৃহস্পতিবারই। পায়ে হেঁটে চলবে নিখোঁজ অভিযাত্রীদের খোঁজ। নামানো হবে সুভাষের দেহ। সাগরমাতা পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড ঘোষণা করে দিয়েছে, ২৯ তারিখেই অভিযান এ বছরের মতো শেষ। ফলে হাতে সময় বেশি নেই।
লোৎসে অভিযান বাতিল করে এ দিনই ক্যাম্প থ্রি থেকে এভারেস্ট বেসক্যাম্পে নেমে এসেছেন পর্বতারোহী দেবাশিস বিশ্বাস। খারাপ আবহাওয়ার কারণে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। ২১ তারিখ ভোরে এভারেস্ট শিখর ছোঁয়া চার জন বাঙালির দলটিও বুধবারই বেসক্যাম্প থেকে নামতে শুরু করেছে। সত্যরূপ সিদ্ধান্ত, মলয় মুখোপাধ্যায়, রুদ্রপ্রসাদ হালদার ও রমেশ রায় লোবুচে পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। কাঠমান্ডুর হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সুনীতা হাজরা এখন ভালই আছেন। মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ একটু শ্বাসের কষ্ট শুরু হওয়ায় আইসিইউ-তে স্থানান্তরিত করতে হয় তাঁকে। তবে আশঙ্কার কোনও কারণ নেই, আশ্বস্ত করছেন চিকিৎসকরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy