বক্তা: ভারত চেম্বার অব কমার্সের অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল। সোমবার। নিজস্ব চিত্র
‘বাংলা আজ যা ভাবে, দেশ তা ভাবে আগামিকাল’— এই অবস্থা কি আজও প্রাসঙ্গিক? এই প্রশ্নে জবাব এড়িয়ে গেলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। সোমবার কলকাতায় বণিকসভার এক প্রশ্নোত্তরে তিনি বললেন, ‘‘বাংলা ভাল। বাংলা আচ্ছা হ্যায়।’’
সাম্প্রতিক অতীতে শাসক শিবিরের সঙ্গে একাধিক বিষয়ে সংঘাত বেঁধেছে রাজ্যপালের। রাজ্যের ‘কন্যাশ্রী’র থেকে কেন্দ্রের ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ প্রকল্পকে বেশি কার্যকর হিসাবে উল্লেখ করে সরকার পক্ষের নিশানা হয়েছিলেন তিনি। বুধবার তাতে নতুন মাত্রা যোগ করলেন কেশরীনাথ। ভারত চেম্বার অফ কমার্সের একটি অনুষ্ঠানে এই পরিচিত বাক্যবন্ধ সম্পর্কে তাঁর মত জানতে চেয়েছিলেন সংগঠনের সভাপতি সীতারাম শর্মা। জবাবে রাজ্যপাল বলেন, ‘‘কী বলব?’’ তারপর একটু থেমে, হেসেই হিন্দিতে বলেন, বাংলা ভাল। রাজ্যপাল অবশ্য বলেন, ‘বাংলাকে শস্য-শ্যমলা বলা হয়, তা নিরর্থক নয়। তা-ই বাংলার উৎস। তা-ই প্রেরণা।’’
এই সূত্রেই রাজ্যপাল হিসাবে তাঁর ১ হাজার ৩০১ দিনের অভিজ্ঞতা জানতে চাওয়া হয়। একটু ঘুরিয়ে তিনি বলেন, ‘‘জীবনে অভিজ্ঞতা সঞ্চিত হয়। তার কিছু ভাল, কিছু খারাপ। খারাপ থেকে শিক্ষা নিতে হয়। তাই এক অর্থে সব অভিজ্ঞতাই ভাল।’’ রাজ্যপাল কি কেন্দ্রীয় সরকারের ‘এজেন্ট’? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি অবশ্য সরাসরিই বলেন, ‘‘রাজ্যপালকে নিয়োগ করেন রাষ্ট্রপতি। তিনি কেন্দ্রের এজেন্ট নন। রাজ্যের সরকারের প্রধান তিনি।’’ সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সম্পর্ক সংবিধানে নির্দিষ্ট রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। অবসররের পরে রাজনীতি করবেন? ত্রিপাঠীর জবাব, আইনি পেশায় ফিরতে চান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy