প্রতীকী ছবি।
জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ছ’দিন স্কুল খোলা থাকলেও কোনও ক্লাস হয়নি। অথচ মিড-ডে মিল খাতে প্রায় ১৯০০ জন ছাত্রছাত্রীর জন্য বরাদ্দ অর্থ খরচ করেছে স্কুল। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে এই মর্মে অভিযোগ করেছেন উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদ অঞ্চলের পূর্ব খেজুরবেড়িয়া এমসি ইনস্টিটিউশনের অভিভাবকদের একাংশ।
এই অভিযোগ নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে স্কুলশিক্ষা দফতরে। দ্রুত এই বিষয়ে তদন্ত হবে বলে জানান দফতরের এক কর্তা। তবে স্কুলের প্রধান শিক্ষক সমরেশচন্দ্র মণ্ডলের দাবি, অভিভাবকেরা ভুল তথ্য দিয়েছেন। এমনকী অভিযোগকারী অভিভাবকদের সই জাল করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
স্কুলশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রীর দফতরে ওই স্কুলের পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, কচিকাঁচাদের মুখের খাবার নিয়ে দুর্নীতি চলছে। চলতি বছরের বিভিন্ন দিনে যখন স্কুল ছুটি থাকত, তখনও মিড-ডে মিল খাতে বরাদ্দ অর্থ খরচ করা হয়েছে।
শুধু তা-ই নয়, সর্বশিক্ষা মিশনের একটি রিপোর্ট উল্লেখ করেও মন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেছেন কিছু অভিভাবক। বছর তিনেক আগে ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছিল, স্কুলের উন্নয়নের জন্য সরকারের তরফে যে-টাকা দেওয়া হয়েছিল, ঠিক ভাবে তা খরচ করা হয়নি। এমনকী স্কুলের শ্রেণিকক্ষ এবং সীমানা-পাঁচিলের মান নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন সর্বশিক্ষা মিশনের কর্তারা। ওই সব রিপোর্টের উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে ফের পুরনো ঘটনা উস্কে দিয়েছেন অভিভাবকেরা।
শিক্ষা মহলের একাংশ জানায়, মিড-ডে মিল নিয়ে দুর্নীতি আটকাতে চাইছে স্কুলশিক্ষা দফতর। খোদ শিক্ষামন্ত্রী এই ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা বজায় রাখতে উদ্যোগী হয়েছেন। কিন্তু এই ধরনের অভিযোগ উঠতে থাকায় ফের অস্বস্তি বেড়েছে দফতরের।
স্কুলশিক্ষা দফতরের এক কর্তা জানান, জঙ্গলমহল এবং চা-বাগান এলাকায় ক্লাস না-হলেও মিড-ডে মিল দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু উত্তর ২৪ পরগনায় এটা হতে পারে না। ‘‘দ্রুত তদন্ত করা হবে,’’ বলেন ওই কর্তা। আর প্রধান শিক্ষক সমরেশবাবু বলছেন, ‘‘কোনও অনিয়ম হয়নি। সমস্ত প্রমাণ রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy