প্রতীকী ছবি।
নিজেকে আনাজ বিক্রেতা পরিচয় দিয়ে আশ্রয় চেয়েছিলেন। গৃহকর্তা আশ্রয় দিয়ে রাতে অতিথিকে পেট ভরে খাইয়েওছিলেন। বাড়তি ঘর না থাকায় বারান্দার চৌকিতেই রাতে শুয়েছিলেন অতিথি। পর দিন সকালে বারান্দার সিলিং থেকেই উদ্ধার হল ওই অতিথির দেহ। কিন্তু আশ্চর্যের তখনও বাকি ছিল। পুলিশের কাছে অতিথির পরিচয় পেয়ে মূর্ছা যাওয়ার জোগাড় গৃহকর্তা বিষ্ণু দাস ও তাঁর পরিজনদের। আগের দিন সকালেই রতুয়ার জগবন্ধুটোলার ওই বাসিন্দা স্ত্রীকে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে খুনের পরে ছেলেকেও হত্যার চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ। তার পর থেকেই তিনি ফেরার ছিলেন।
হরিশ্চন্দ্রপুরের ভিঙ্গোলে শুক্রবার সকালে ওই ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম সাধুচরণ মণ্ডল (৫৫)। তাঁর সাইকেলে রাখা ব্যাগ থেকে বিষের একটি শিশিও পুলিশ উদ্ধার করেছে। তবে বিষ না খেয়ে অন্যের বাড়িতে এসে অভিযুক্ত কেন এমন করলেন তা নিয়ে ধন্দে পুলিশও।
অভিযোগ, বৃহস্পতিবার ভোরে রতুয়ার চর এলাকা জগবন্ধুটোলায় প্রথমে স্ত্রী রেণু মণ্ডলকে (৫০) হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে খুন করার পর একমাত্র ছেলে উত্তমকেও খুন করার চেষ্টা করেন সাধুচরণ। ঘটনার পরেই পালিয়ে যান তিনি। ওই ঘটনার কথা কিছুই জানতেন না ভিঙ্গোলের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বিষ্ণুবাবু। আনাজ বিক্রি করতে এসে রাত হয়ে গিয়েছে বলে তাঁর বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় চান সাধুচরণ। অপরিচিতকে আশ্রয় দিতে প্রথমটায় আপত্তি থাকলেও তাঁর কান্নাকাটি শুনে ও আনাজবাহী সাইকেল দেখে নিশ্চিত হয়ে শীতের রাতে বাড়িতে আশ্রয় দেন।
বিষ্ণুবাবু এ দিন বলেন, ‘‘পরনে ধুতি, গায়ে সোয়েটার পরা ওই ব্যক্তির কথায় অসঙ্গতি কিছু বুঝিনি। রাতে পরোটা, তরকারিও খেতে দিই। তা ছাড়া রতুয়ার ঘটনার কথা আমরা জানতাম না। সকালে ওর দেহ দেখে মাথায় বাজ ভেঙে পড়ে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy