সদ্য তৈরি একটা ফেসবুক পেজ। আচমকা সেখানে নিজের ছবি দেখে চমকে উঠেছিলেন যাদবপুরের এক অধ্যাপিকা। পেজে রিপোর্ট করেও লাভ হয়নি। পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। মেল করে অভিযোগও দায়ের করেন।
একই অভিজ্ঞতা গোবরডাঙার শিক্ষিকা অমৃতা মুখোপাধ্যায়ের। ‘‘ওরা যে শুধু বিনা অনুমতিতে ছবি ব্যবহার করছে তা-ই নয়, প্রতিটা ছবির নীচে একাধিক কুপ্রস্তাব থেকে শুরু করে নোংরা ইঙ্গিত, কিছুই বাকি নেই।’’— বললেন তিনি। তিনি জানান, রিপোর্ট করলে ওই পেজের তরফে হুমকি দেওয়া হয়, ‘‘আরও বেশি করে করব।’’ এর প্রতিবাদে পোস্ট দিয়ে পরিচিতদের সাবধান করেন অমৃতা। সেই পোস্ট শেয়ার করেন বেহালার এক অধ্যাপিকা। অভিযোগ, তিনি শেয়ার করা মাত্র তাঁর ছবিও পোস্ট করা হয় ওই পেজে। সঙ্গে জমতে থাকে অশ্লীল কমেন্ট।
তিন জনেই ই-মেলের মাধ্যমে অভিযোগ দায়ের করেছেন কলকাতা পুলিশে। এখনও পেজটি তো বন্ধ হয়ইনি, উল্টে প্রায় প্রতি মিনিটে ছবি পোস্ট হয়ে চলেছে বিভিন্ন মহিলার।
ঘটনাচক্রে, তরুণীর অশ্লীল ছবি পোস্ট করার অভিযোগে দায়ের হওয়া একটি মামলার আজ, বুধবারই সাজা ঘোষণা হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা আদালতে। পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও ন’হাজার টাকা জরিমানা হয়েছে অভিযুক্ত যুবক অনিমেষ বক্সীর। সাইবার ক্রাইমে সাজা ঘোষণার উদাহরণ এ রাজ্যে খুব বেশি নেই। তমলুকের এই ঘটনায় তাই খুশি নেটিজেন। সোশ্যাল মিডিয়ার নিরাপত্তা বাড়াতে এ ধরনের পদক্ষেপ জরুরি বলেই মনে করছেন তাঁরা।
কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন) প্রবীণ ত্রিপাঠী বলেন, ‘‘সব অভিযোগ পেয়েছি। ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy