Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

হার্দিক, মমতার নবান্নে বৈঠক, শুরু জোটচর্চা

শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ থেকে ফেরার পরে নবান্নে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন হার্দিক। পরে হার্দিক বলেন, ‘‘বিরোধীদের মধ্যে কংগ্রেস এবং তৃণমূল এই মুহূর্তে শক্তিশালী দল। যদি দিদি, কংগ্রেস নেতৃত্ব এবং অন্যরা বসে কোনও সিদ্ধান্ত নেন, তা হলে ভাল হবে।’’

মুখোমুখি: পাতিদার নেতা হার্দিক পটেলের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার নবান্নে। ছবি: পিটিআই।

মুখোমুখি: পাতিদার নেতা হার্দিক পটেলের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার নবান্নে। ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:৫১
Share: Save:

কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে গুজরাতে বিজেপির দুর্গে বড়সড় ফাটল ধরাতে পেরেছেন তিনি। সেই আত্মবিশ্বাসে ভর করেই গুজরাতের পাতিদার নেতা হার্দিক পটেল মনে করেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কংগ্রেস এবং তৃণমূলের হাত মিলিয়ে চলা উচিত। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ থেকে ফেরার পরে নবান্নে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন হার্দিক। পরে হার্দিক বলেন, ‘‘বিরোধীদের মধ্যে কংগ্রেস এবং তৃণমূল এই মুহূর্তে শক্তিশালী দল। যদি দিদি, কংগ্রেস নেতৃত্ব এবং অন্যরা বসে কোনও সিদ্ধান্ত নেন, তা হলে ভাল হবে।’’

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কিছু দিন ধরেই তৃণমূলের একলা চলার পক্ষে সওয়াল করছেন। এ দিন হার্দিকের বক্তব্যের পরে আগামী দিনে বিরোধী মঞ্চের চেহারা কী হবে, তা নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও মমতা বা তৃণমূলের কেউ প্রকাশ্যে বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। তবে গুজরাতে মোদীকে বেগ দেওয়া এই পাতিদার নেতার সঙ্গে বৈঠকের পরে তিনি যে খুশি, তা বুঝিয়ে মমতা বলেন, ‘‘হার্দিক খুব বুদ্ধিমান, সংবেদনশীল ছেলে। ও রাজনীতিতে এলে ঠিক সিদ্ধান্ত হবে। কারণ, রাজনীতির লোকেরাই নীতি নির্ধারণে সঠিক ভূমিকা নিতে পারে।’’ হার্দিককে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ডাকও দিয়েছেন মমতা।

গুজরাত নির্বাচনের সময় থেকেই হার্দিকের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন মমতা। ওই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ে হার্দিকরা ভাল ফল করার পরে মুখ্যমন্ত্রী নিজে ফোন করে এই পাতিদার নেতার সঙ্গে কথা বলেন। তখনই তিনি হার্দিকের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছেও জানান। শনিবার কলকাতায় ‘দ্য টেলিগ্রাফ’ বিতর্কে অংশ নেবেন হার্দিক। সেই উপলক্ষে শুক্রবার তাঁর কলকাতায় আসা। এবং শহরে এসেই তাঁর প্রথম কর্মসূচি মমতার সঙ্গে বৈঠক।

এ দিন নবান্নে মমতার সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠক করেন হার্দিক। পরে বাইরে এসে তিনি বলেন, ‘‘আমি তো গাঁধীজিকে দেখিনি। তবে আমার কাছে দিদি ‘লেডি গাঁধী’। ইন্দিরাজির পরে তিনি এত সংগ্রাম করে উঠে এসেছেন। উনি বলেছেন, তোমার রাজনীতিতে আসা উচিত। আমার দলের দরজা তোমার জন্য খোলা। গুজরাতে চালাতে পার। আমি তাঁকে বলেছি, পরে জানাব।’’ কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলানোর কথা বললেও তিনি যে এ দিন কোনও জোটবার্তা আনেননি, এ দিন তা স্পষ্ট করে দেন হার্দিক। তিনি বলেন, ‘‘আমি রাজনৈতিক ব্যক্তি নই। আমি একজন আন্দোলনকারী। দিদিও আন্দোলন করেছেন দীর্ঘদিন’’

মমতাকে গুজরাতে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন হার্দিক। পাশাপাশি, ২০১৯-এ লোকসভা নির্বাচনে মমতার হয়ে বাংলায় প্রচারে আসার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE