ভাঙড়ে বিদ্যুতের গ্রিড তৈরি নিয়ে আন্দোলনের জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ধৃতদের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে (ইউএপিএ) কেন মামলা দায়ের হয়েছে, তা জানতে চায় কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী সোমবার রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন, দু’সপ্তাহের মধ্যে আদালতকে জানাতে হবে, কী কারণে ধৃতদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ-র ধারা দেওয়া হল। ওই মামলার কেস ডায়েরিও পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
পুলিশ জানায়, ভাঙড়ে বিদ্যুতের গ্রিড তৈরি নিয়ে গত ১৭ জানুয়ারি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়। আন্দোলকারীদের সরাতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ। এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান দু’জন। পুলিশকে লক্ষ করে গুলি ও বোমা ছোড়া হয়। আগুন লাগানো হয় তাদের গাড়িতে। তদন্তে নেমে পুলিশ বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করে এবং অনেকের বিরুদ্ধে ইউএপিএ-তে মামলা দায়ের করে।
পুলিশ জানায়, যাঁদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ-তে মামলা হয়েছে, তাঁদের চার জন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। ওই অভিযুক্তদের বক্তব্য, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ভাবেই ইউএপিএ প্রযোজ্য হতে পারে না। অভিযুক্তদের আবেদন, ওই মামলা থেকে তাঁদের অবিলম্বে অব্যাহতি দেওয়া হোক।
বিচারপতি বাগচীর আদালতে এ দিন মামলাটির শুনানি হয়। ধৃত চার জনের আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় ও শীর্ষেন্দু সিংহরায় আদালতে জানান, বিদ্যুতের গ্রিড তৈরি নিয়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থান-বিক্ষোভ করছিলেন তাঁদের মক্কেলরা। পুলিশ বিনা প্ররোচনায় লাঠি চালায়। তাতে অনেকে জখম হন। পুলিশ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তাঁদের মক্কেলদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ-তে মামলা দায়ের করেছে।
বিচারপতি বাগচী তার পরেই পাবলিক প্রসিকিউটর শাশ্বতগোপাল মুখোপাধ্যায়কে নির্দেশ দেন, ইউএপিএ-তে মামলা দায়ের করার কারণ কী, সেটা জানানো হোক। সেই সঙ্গে পেশ করা হোক কেস ডায়েরিও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy