মায়ানমার সীমান্ত থেকে প্রায় ১৪ কিলোগ্রাম সোনা নিয়ে এসে ধরা পড়লেন মণিপুরের চার যুবক। রবিবার গভীর রাতে ব্যান্ডেল স্টেশন থেকে মহম্মদ সিকান্দর (২৮), মহম্মদ তপসির (২৮), মহম্মদ মুস্তাক আলি (৩৩) এবং মহম্মদ বেলাল (৩২)-কে গ্রেফতার করেন ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইনটেলিজেন্স (ডিআরআই)-এর অফিসারেরা। বাজেয়াপ্ত হওয়া সোনার বাজারদর প্রায় ৪ কোটি ২৪ লক্ষ টাকা বলে ডিআরআই জানিয়েছে।
ধৃত ওই চার যুবক ১০ নভেম্বর ইম্ফল ও মায়ানমারের সীমান্ত থেকে সোনা নিয়ে গাড়িতে প্রথমে গুয়াহাটি ও পরে কামরূপ এক্সপ্রেস ধরে কলকাতার দিকে আসছিলেন। ডিআরআই অফিসারেরা জানান, হাওড়া স্টেশনে কামরূপ ঢোকে ভোরে। ওই ট্রেনে মাঝেমধ্যেই তল্লাশি চালানো হয়। পাচারকারীরা তা অনুমান করে রবিবার মাঝরাতেই ব্যান্ডেলে নেমে যান। কিন্তু, তাঁরা যে ব্যান্ডেলে নামবেন সে খবরও আগেভাগে পেয়ে যান গোয়েন্দারা। তার ভিত্তিতে ওত পেতে ছিলেন তাঁরা।
সূত্রের খবর, সব মিলিয়ে চার জনের থেকে ৮৪টি সোনার বিস্কুট মিলেছে। সেলোটেপ দিয়ে একটির সঙ্গে আর একটি বিস্কুট জুড়ে সেটি বেল্টের মতো কোমরে পরে আসছিলেন তাঁরা। তাই প্রথমে ব্যাগ তল্লাশিতে কিছু মেলেনি। প্রাথমিক ভাবে ডিআরআই জেনেছে, ব্যান্ডেল থেকে গাড়ি করে ধৃতদের কলকাতা আসার পরিকল্পনা ছিল। এখানে এক ব্যক্তির কাছে ওই সোনা তুলে দেওয়ার কথা ছিল। গোয়েন্দারা আরও জেনেছেন, এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সোনা পৌঁছে দেওয়ার জন্য ওই চার যুবকের প্রত্যেকের ১০-১২ হাজার টাকা পাওয়ার কথা ছিল।
এ নিয়ে চলতি বছরের এপ্রিলের পর থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪৯ কোটি টাকার সোনা বাজেয়াপ্ত করল ডিআরআই। এই পরিমাণ সোনা পুরোটাই ভুটান, মায়ানমার ও বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে এসেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy