তুষারকান্তি দাস। নিজস্ব চিত্র
তখনও ভাল করে ভোরের আলো ফোটেনি। সেই সুযোগটাই নিতে চেয়েছিল পাচারকারীরা। কিন্তু আলো-আঁধারিতে ছোট গাড়িটিকে তীব্র গতিতে ছুটে যেতে দেখেই সন্দেহটা দানা বেঁধেছিল বিএসএম জওয়ান তুষারকান্তি দাসের মনে। বৃহস্পতিবার সকালে গাইঘাটা থানার আংড়াইল সীমান্তে রামনগর রোডে পাহারার দায়িত্বে ছিলেন তিনিই। সন্দেহ হয় ওই গাড়িটিতে করে গরু পাচার করা হচ্ছে বাংলাদেশে। সঙ্গে সঙ্গেই ছুটে চার চাকার গাড়িটিকে থামাতে যান তুষারবাবু।
কিন্তু গাড়ি থামার বদলে তুষারবাবুকে সজোরে ধাক্কা মেরে আরও জোরে গাড়ি ছুটিয়ে দেয় পাচারকারীরা। প্রায় ১০-১২ ফুট দূরে ছিটকে পড়েন বছর ছেচল্লিশের তুষারকান্তি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এরপর গাড়িটি ধাক্কা মারে স্থানীয় গণপতি বিশ্বাসের বাড়িতে। বাড়ি সংলগ্ন একটি মুদির দোকানেও ধাক্কা লাগে। ক্ষতিগ্রস্থ হয় দোকানটির একাংশ।
আরও পড়ুন: গলাকাটা অবস্থাতেও হামাগুড়ি দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেছিল প্রদ্যুম্ন!
দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল। নিজস্ব চিত্র
আওয়াজ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন আশেপাশে থাকা জওয়ানরা। আসে গাইঘাটা থানার পুলিশও। তুষারবাবুকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা থানা এলাকায় বাড়ি তুষারবাবুর। আংড়াইল ক্যাম্পের হেড কনস্টেবল পদে ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ১১ মাসের ছেলেকে বিক্রি করে মোবাইল কিনলেন বাবা!
পুলিশ সূত্রে খবর, দুর্ঘটনার পর থেকেই পলাতক গাড়ির চালক। গাড়িটিকে আটক করা হযেছে। পাচারের জন্য পাঁচটি গরুকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এর মধ্যে একটি গরু মারা গিয়েছে বলে জানায় পুলিশ। কেন্দ্রে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সীমান্তে গরু পাচারের ঘটনা অনেক কমে গিয়েছে। বেড়েছে নজরদারিও। কিন্তু তা সত্ত্বেও এমন ঘটনায় আরও একবার বোঝা গেল পুলিশ ও সীমান্তরক্ষা বাহিনীর তরফে যতই দাবি করা হোক না কেন এখনও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি সীমান্ত লাগোয়া পাচারের ঘটনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy