বিপদ: মাদক মেশানো লজেন্স।
স্কুলের বাচ্চাদের লজেন্সের মোড়কে মাদক খাওয়াতে নেমেছে একটি চক্র। কেন্দ্রের অধীনস্থ নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) এ বিষয়ে স্কুল, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকদের সচেতন করতে শুরু করেছে।
এনসিবি-র পূর্বাঞ্চলের অধিকর্তা দিলীপ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কলকাতা বা রাজ্যের অন্যত্র স্কুলপড়ুয়াদের হাতে মাদক তুলে দেওয়ার ঘটনার কথা তাঁদের কানে আসেনি। সম্প্রতি দিল্লি ও মুম্বইয়ের দু’টি স্কুলে এ রকম ঘটনা ঘটেছে। সেখানে স্কুল শুরুর আগে, টিফিন টাইমে বা ছুটির পরে একদল লোক ছোট বাচ্চাদের হাতে সুন্দর দেখতে এই লজেন্স তুলে দিচ্ছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। দুই শহরের দুই শিশু এমন লজেন্স খেয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালেও ভর্তি হয়েছে বলে দিলীপবাবু জানিয়েছেন।
এই কারণে, কলকাতা তথা রাজ্যের অন্যত্র স্কুলগুলিকে এবং অভিভাবকদের হোয়াটসঅ্যাপ মারফত সতর্ক করছে এনসিবি। যে চক্র অন্য রাজ্যে সক্রিয় তারা যে কোনও সময়ে এই রাজ্যেও হানা দিতে পারে বলে আশঙ্কা। দিলীপবাবু বলেন, ‘‘আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কলকাতার বেশির ভাগ স্কুলকেই আমরা বিষয়টি জানাব। বলা হবে, ছাত্রছাত্রী ও তাদের অভিভাবকদেরও সতর্ক করতে।’’
আরও পড়ুন: কেন ফুটবল পাগল, বলবে কলকাতা
জানা গিয়েছে, লজেন্সের মধ্যে আফিম মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সম্ভাব্য উদ্দেশ্য— ওই মাদক মেশানো লজেন্স খাওয়ার পরে বাচ্চারা বার বার খেতে চাইবে এবং তখন এই মাদকের আরও বিক্রি হবে। এনসিবি জানিয়েছে, কোনও অপরিচিত ব্যক্তির হাত থেকে বাচ্চারা যাতে কোনও ধরনের লজেন্স বা ক্যান্ডি না নেয় তার জন্য বাচ্চাদের সতর্ক করতে হবে। এই সতর্ক করার কাজ সব চেয়ে ভাল অভিভাবক ও শিক্ষক-শিক্ষিকারাই করতে পারেন বলে দিলীপবাবুর মত। শুধু অপরিচিত ব্যক্তিই নয়, ওই রকম দেখতে কোনও লজেন্স বা ক্যান্ডি বন্ধুদের কাছ থেকেও নিতে বারণ করছে এনসিবি।
আপাতত ‘স্ট্রবেরি কুইক’ নামে এক ধরনের লজেন্স নিয়ে সব চেয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। তার স্বাদ ও গন্ধ দুই-ই স্ট্রবেরির মতো। ভিতরে রয়েছে মাদক। তবে, দিলীপবাবুদের আশঙ্কা, চকলেট, কোলা, চেরি, আঙুর, কমলালেবুর স্বাদেও পাওয়া যাচ্ছে মাদক মেশানো ক্যান্ডি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy