Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

সন্ত্রাস প্রশ্নে তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি কৈলাসের

এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের থেকে ‘হিসাব নেওয়া’র হুঁশিয়ারি দিলেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। বর্ধমানের মন্তেশ্বরে দলের বুথ সভাপতি বাণেশ্বর রায়, ঝাড়গ্রামের দলীয় কর্মী মাতাল দিগর এবং বারুইপুরের বুথ সভাপতি সৌমিত্র ঘোষালের হত্যার ঘটনা উল্লেখ করে শনিবার টুইট করেছেন কৈলাস।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:১০
Share: Save:

সাত দিনের মধ্যে তিন জন বিজেপি কর্মী নিহত। তিনটি ঘটনাতেই অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের থেকে ‘হিসাব নেওয়া’র হুঁশিয়ারি দিলেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। বর্ধমানের মন্তেশ্বরে দলের বুথ সভাপতি বাণেশ্বর রায়, ঝাড়গ্রামের দলীয় কর্মী মাতাল দিগর এবং বারুইপুরের বুথ সভাপতি সৌমিত্র ঘোষালের হত্যার ঘটনা উল্লেখ করে শনিবার টুইট করেছেন কৈলাস। টুইটে লিখেছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের জনগণকে বিজেপির সঙ্গে জুড়তে দেখে তৃণমূলের গুন্ডা দিয়ে বিজেপি কর্মীদের নির্মম ভাবে হত্যা করা হচ্ছে। রাজ্যের মানুষ আপনাদের থেকে এক একটি হত্যার হিসাব বুঝে নেবে।’’

ঝাড়গ্রামে এ দিন সভাও করেছে বিজেপি। সেখানে দলের রাজ্য নেতৃত্বেরও এক সুর। রাজ্য বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু ওই সভায় বলেন, ‘‘তৃণমূলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যদি বিজেপি কর্মীরা প্রতিরোধ করতে পারেন, তা হলে এ বার পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধেও প্রতিরোধ করতে তাঁরা পিছপা হবেন না।’’ এর পর সায়ন্তনের সংযোজন, ‘‘তৃণমূলের পাঁচ জনকে শুইয়ে দিলে তাদের লোকজন আর বাড়ি থেকে বেরোতে পারবে না। পাশের ঝাড়খণ্ড রাজ্য থেকে লোক ঢুকিয়ে দেব। তৃণমূলিরা তখন বাঁচতে পারবেন তো! কিন্তু আমরা এ সব করতে চাই না।” পুলিশ তৃণমূলকে তোষামোদ বন্ধ না করলে জেলার এসপি-র বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে নালিশ জানানোর হুশিয়ারিও দেন সায়ন্তন। বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় ওই সভায় পরিবারকে সুরক্ষিত রাখার জন্য মহিলাদের অস্ত্র তুলে নেওয়ার নিদান দেন।

বিজেপির আরও অভিযোগ, দুর্গাপুজোতেও তৃণমূল রাজনৈতিক লড়াই টেনে আনছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এ দিন জানান, শ্রীরামপুরের নেহরুনগর সার্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতি রবিবার তাদের পুজো উদ্বোধন করার জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় তৃণমূলের হুমকির জেরে মন্ত্রীর অনুষ্ঠান বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে তারা।

তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য কারও হুমকিকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন না। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিজেপির সব নেতাই আস্তিন গোটানোর রাজনীতি করছেন। পুলিশকে মারার মতো উস্কানিমূলক এবং আইনবিরুদ্ধ কথা বলছেন। আসলে এ রাজ্যে বিজেপির জনভিত্তি তৈরি হচ্ছে না। তাই কেবলই শূন্যে আস্ফালন করছেন!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE