Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

বিউগল বাজিয়ে কালিম্পঙে স্বাগত বিনয়কে

তাঁর দাবি, এর পিছনে রয়েছেন গুরুঙ্গ। পাশাপাশি রোশনকে দুষে বিনয় জানান, সাত জন নেতার কারণে এ বার গোর্খাল্যান্ড আন্দোলন ফলপ্রসূ হয়নি। এর মধ্যে এক জনের নামই প্রকাশ্যে বলেন বিনয়। তিনি হলেন রোশন গিরি। জিটিএ চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, বাকিদের নাম তিনি সময় মতো জানাবেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কালিম্পং শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৭ ০২:৫৮
Share: Save:

কার্শিয়াং-দার্জিলিঙের কাউন্সিলর, বিধায়কদের সমর্থন আগেই পেয়েছেন বিনয় তামাঙ্গ-অনীত থাপা জুটি। বাকি ছিল শুধু কালিম্পং। মঙ্গলবার অনীত সেখানে পৌঁছলে সাধারণ মানুষ স্বাগত জানান তাঁকে। এক দিন পরে বুধবার বিনয় এলে কালিম্পং তাঁকে শিঙা, বিউগলের আওয়াজে স্বাগত জানায়। যা দেখে পাহাড়ের মানুষ মনে করছেন, জিটিএ চেয়ারম্যান হওয়ার তিন সপ্তাহের মধ্যে পাহাড়ের সর্বত্রই দলে ও প্রশাসনে কমবেশি কর্তৃত্ব কায়েম করে ফেলল বিনয়-অনীত জুটি।

এ দিন কালিম্পঙে পৌঁছে বিমল গুরুঙ্গ এবং রোশন গিরিকে এক হাত নেন বিনয়। তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘২৫ সেপ্টেম্বর কেয়ারটেকার চেয়ারম্যান হয়ে উন্নয়নে গতি আনতে চেষ্টা করছি। এর মধ্যে চার বার আমাকে খুনের চেষ্টা হয়েছে।’’ তাঁর দাবি, এর পিছনে রয়েছেন গুরুঙ্গ। পাশাপাশি রোশনকে দুষে বিনয় জানান, সাত জন নেতার কারণে এ বার গোর্খাল্যান্ড আন্দোলন ফলপ্রসূ হয়নি। এর মধ্যে এক জনের নামই প্রকাশ্যে বলেন বিনয়। তিনি হলেন রোশন গিরি। জিটিএ চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, বাকিদের নাম তিনি সময় মতো জানাবেন।

আরও পড়ুন: ‘রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র চলতে পারে না ’ সরব মুকুল

কালিম্পং থেকে বিনয় যান ডেলোয়। সেখানকার বাংলোয় তিনি রাতে কালিম্পং পুরসভার কাউন্সিলরদের কয়েক জনের সঙ্গে বৈঠক করেন। স্থানীয় মানুষ বলছেন, সব ঠিক থাকলে কালিম্পং পুরসভার দখল নেওয়াও সময়ের অপেক্ষা বিনয়ের। বৈঠক শেষে বিনয় বলেন, ‘‘শুনেছি উনি (গুরুঙ্গ) নাকি সিকিমে লুকিয়ে আছেন। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন। উনি যদি আইন মেনে চলেন, তা হলে ভাল করবেন।’’ অনেকে মনে করছেন, গুরুঙ্গকে আত্মসমর্পণেরই বার্তা দিলেন বিনয়।

দলীয় সংগঠনে যে বিনয়ের দখল বাড়ছে, সেটা মঙ্গলবার যুব মোর্চার আলোচনাতেই উঠে এসেছিল। এ দিন বিনয় যখন কালিম্পঙে সভা করছেন, তখন দার্জিলিঙে জিটিএ-র অস্থায়ী কর্মীদের সংগঠন তাঁকে জিটিএ-র প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে স্বাগত জানিয়েছে। জিটিএতে প্রায় ৬ হাজার অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন। গুরুঙ্গ-ঘনিষ্ঠ মাচেন্দ্র সুব্বা এই সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ছিলেন। এ দিন সংগঠনের ৫০ জনের কেন্দ্রীয় কমিটি বৈঠকে বসে। সেখানে পুরোনো কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। মাচেন্দ্র জানান, তাঁরা ‘নতুন জিটিএ’কে স্বাগত জানাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘‘চলতি মাসেই নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত হবে।’’ অস্থায়ী কর্মীদের নতুন কমিটির মাথায় বিনয় ঘনিষ্ঠ কোনও নেতাই যে বসবেন তা নিয়ে সংগঠনের অন্দরে কোনও সংশয় নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE