Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

পুলিশি তল্লাশি ছ’টি সংস্থায়

গত ১৫ ডিসেম্বর হেয়ার স্ট্রিট থানা এলাকার ম্যাঙ্গো লেনে গোবিন্দ অগ্রবাল নামে এক ব্যবসায়ীর অফিস থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিশ।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

শিবাজী দে সরকার শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৪:৪৯
Share: Save:

গত বছরের ডিসেম্বরে যে মামলায় নাম উঠে এসেছিল রোজ ভ্যালি কর্তা গৌতম কুণ্ডুর স্ত্রী শুভ্রা এবং প্রাক্তন ইডি কর্তা মনোজ কুমারের, সেই মামলাতেই শহরের ছ’টি নামী চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট সংস্থায় তল্লাশি চালিয়েছেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা। লালবাজার সূত্রে খবর, আদালতের নির্দেশে গত ১২ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ এবং মধ্য কলকাতার ওই অফিসগুলিতে সারারাত ধরে তল্লাশি চলে।

গত ১৫ ডিসেম্বর হেয়ার স্ট্রিট থানা এলাকার ম্যাঙ্গো লেনে গোবিন্দ অগ্রবাল নামে এক ব্যবসায়ীর অফিস থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিশ। লালবাজারের দাবি, এই নামী চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের কাছ থেকেও সেই ধরনের কিছু নথি পাওয়া গিয়েছে। তবে ওই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

কলকাতার এই ছ’টি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট সংস্থা আয়কর সংক্রান্ত কাজ করে বলে জানা গিয়েছে। নারদ, সারদা ও রোজ ভ্যালিতে অভিযুক্ত কিছু ‘প্রভাবশালী’-র আয় ব্যায়ের হিসেব নিয়ে আয়কর দফতর তদন্তে নেমেছে। সম্প্রতি মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী রত্নাদেবীর আয়-ব্যায় সংক্রান্ত হিসেব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আয়কর। আয়কর দফতরের কর্তাদের একাংশের অভিযোগ, আয়কর দফতর রাজ্য শাসক দলের নেতা মন্ত্রীদের নিয়ে টানাটানি শুরু করতেই আসরে নেমেছে কলকাতা পুলিশ। সূত্রের খবর, অভিযুক্ত সংস্থাগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটি বিজেপি নেতাদের ঘনিষ্ঠ। পুলিশের একাংশের অভিযোগ, পুরনো এই মামলা হাতিয়ার করে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধেও পুলিশ তথ্য জোগাড়ে নেমেছে।

কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সে বার গোবিন্দ অগ্রবালের অফিস থেকে বাতিল নোটে ১ কোটি ৪২ লক্ষ টাকাও পাওয়া যায়। তদন্তকারীদের দাবি, সেখানকার কম্পিউটারের ‘হার্ড ডিস্ক’-এ ‘রোজ ভ্যালি’ এবং ‘রোজ ভ্যালি ম্যাডাম’ নামে দু’টি ফোল্ডার ছিল। সেই নথি যাচাই করার পর পুলিশ দাবি করে ওই দু’টি ফোল্ডার শুভ্রার। সেখানে ১৫ কোটি টাকা পাচারের তথ্য রয়েছে। রোজ ভ্যালি সংস্থার অ্যাকাউন্ট থেকে ওই টাকা শুভ্রার অ্যাকাউন্টে গিয়েছিল। এ জন্য শুভ্রাকে জেরা করেছিল পুলিশ। ওই ঘটনাতেই মনোজেরও নাম জড়িয়েছিল।

পুলিশের দাবি ওই টাকা পাচারের তদন্তে জানা গিয়েছে, শহরের বেশ কয়েকটি নামী চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট সংস্থা এই অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়়িত। অভিযোগ, নোটবন্দির সময় বেনামে বিভিন্ন সংস্থার টাকা সরাতে সাহায্য করেছে তারা। ভুয়ো সংস্থা খুলে তারা টাকা পাচার করেছে বলেও তদন্তকারীদের দাবি। এর পরেই ওই সংস্থা গুলির বিরুদ্ধে জানুয়ারিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিল পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE