অশোকনগরের ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে পরিবার। বৃহস্পতিবার নির্মাল্য প্রামাণিকের তোলা ছবি।
আয়লার স্মৃতি এখনও তাজা, তাই ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসার খবর পেয়ে ঝুঁকি নেয়নি প্রশাসন। ডায়মন্ড হারবার, কাকদ্বীপ, ক্যানিং-সহ উপকূলীয় থানা এলাকার স্কুলগুলিতে বুধবারই ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। অনেক ছাত্রছাত্রী ছুটির আগাম খবর জানতে না পারায় বৃহস্পতিবার সকালে স্কুলে গিয়ে ফিরে আসে। ওই সব এলাকায় সোমবার পর্যন্ত বন্ধ থাকবে স্কুল।
কাকদ্বীপের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অভিজিৎ চৌধুরীর দাবি, ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় প্রস্তুত প্রশাসন। প্রতিটি পঞ্চায়েতে ত্রিপল পাঠানো হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবকেরাও তৈরি। শনি, রবিবার ব্লকের কন্ট্রোল রুম খোলা রাখা হচ্ছে। প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে সাগর, পাথরপ্রতিমা এবং নামখানা ব্লকেও। এ দিন দুপুরে বিপর্যয় মোকাবিলা বিষয়ে বৈঠক করেন জেলাশাসক পি বি সেলিম। তার পরে দুই মহকুমার বিপর্যয়-প্রবণ ব্লকগুলিতে উদ্ধার কিট পৌঁছে দেওয়া হয়। ক্যানিং মহকুমায় ৬টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে।
জেলাশাসক পি বি সেলিম বলেন, ‘‘জেলার সব সরকারি দফতরগুলি শনিবার, রবিবার খোলা রাখতে বলা হয়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।’’
চিত্রটা একটু অন্যরকম বসিরহাট মহকুমায়। বৃহস্পতিবার এক দিনের জন্য এই মহকুমার ৬টি ব্লকের স্কুলগুলি ছুটি ঘোষণা করা হয়। নদী সংলগ্ন গ্রাম থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় বাসিন্দাদের। ব্লকে ব্লকে পৌঁছে দেওয়া হয় ত্রিপল, ত্রাণ সামগ্রী। বসিরহাটের মহকুমাশাসক শেখর সেন বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত বড় ঘটনার খবর মেলেনি। যে কোনও পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে বলা হয়েছে সেচ দফতর, পঞ্চায়েতগুলিকে। মহকুমার ১০টি ব্লকে ত্রাণ, পলিথিন এবং উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে।’’
বোমাবাজির অভিযোগে আটক। সালিশি সভায় গিয়ে বোমাবাজি করার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দুপুরে মন্দিরবাজারের ধান্যকাটা গ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক সপ্তাহ আগে ওই গ্রামের এক কিশোরীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে গ্রামেরই এক যুবকের বিরুদ্ধে। সেই নিয়ে গ্রামে এ দিন দুই পরিবারকে নিয়ে সালিশি সভা বসেছিল। দু’পক্ষের ভিতর বচসা চলার সময়ে ওই যুবক বোমা ছোড়ে বলে অভিযোগ। ওই ব্যক্তি এলাকায় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy