স্কুলের চাকরিটা পেয়ে পড়শিদের মিষ্টি খাইয়েছিলেন তিনি। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে বগুলার সেই বিশ্বজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় পেলেন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চিঠি, যাতে বলা হয়েছে, এই নিয়োগ হয়েছিল ‘ভুল’ করে। তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হল। তাঁর আর স্কুলে যাওয়ার দরকার নেই।
শুধু বিশ্বজিৎ নন, এ রকম চিঠি পেয়েছেন নদিয়ার প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকের চাকরি পাওয়া আরও কিছু তরুণ-তরুণী। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় পাশের পরে কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন স্কুলে সহকারী শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ পেয়েছিলেন তাঁরা। বেশ কয়েক দিন ক্লাসও নিয়েছেন।
কেন এমনটা হল? নদিয়ায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করার ক্ষেত্রে পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য ১৪৮টি পদ সংরক্ষিত ছিল। মোট ১৪০ জন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ফলে, তাঁদের সকলেরই চাকরি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তা হয়নি। এ নিয়ে হইচই শুরু হয়ে যায়।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান রমাপ্রসাদ রায়ের ব্যাখ্যা, আবেদনপত্রে নির্দিষ্ট জায়গায় ‘টিক’ দিয়ে উল্লেখ করতে বলা হয়েছিল, প্রার্থী আগে পার্শ্বশিক্ষক ছিলেন কি না। তিনি বলেন, “উচ্চ প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের কিছু পার্শ্বশিক্ষক ফর্মে প্রাথমিকের পার্শ্বশিক্ষক হিসেবে টিক দিয়েছিলেন। অনেকে পার্শ্বশিক্ষক না হয়েও টিক দিয়েছিলেন। এই সবই ধরা পড়ার পরে বাতিল হয়ে গেছে।”
কিন্তু এর বাইরেও রয়েছেন একটি অংশ, যাঁরা ফর্মে নিজেদের প্রাথমিকের পার্শ্বশিক্ষক বলে দাবি করেননি। সংসদই তাঁদের নিয়োগ করেছিল, এখন তারাই তাঁদের ছাঁটাই করতে চাইছে। যেমন হাঁসখালির গাঁড়াপোতার অরিন্দম তালুকদার নিয়োগ পেয়েছিলেন শান্তিনগর প্রাথমিক স্কুলে। বগুলার বিশ্বজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ও ধুবুলিয়ার পাত্রদহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ পান। এখন তাঁদের উপরে খাঁড়া নেমেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy