প্রতীকী ছবি।
অঙ্কের নিয়মে চাহিদা বাড়লে জোগান বাড়াতে হয়। রেলের কিন্তু সবই উল্টো! যাত্রী-সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে, তবু ট্রেন বাড়ানো দূরের কথা, বিশেষ করে রবিবার তা কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে! যেন ছুটির দিন বলেই মানুষের যাতায়াতেরও ছুটি হয়ে যায়!!
এই অবস্থায় মেন লাইনে রবিবার ট্রেন বাড়ানোর দাবি তুলেছেন যাত্রীরা। তাঁদের বক্তব্য, শিয়ালদহের বিভিন্ন শাখায় যে-হারে যাত্রী বেড়েছে ও বেড়ে চলেছে, তাতে সপ্তাহের এই ছুটির দিনটিতেও ট্রেন বাতিলের বিষয়টি নতুন করে ভাবা প্রয়োজন। কেননা রবিবার সকাল থেকে যে-হারে ট্রেন বাতিল করা হতে থাকে, তাতে এই লাইনে যাত্রীদের চলাফেরা করাই দায় হয়ে উঠেছে। দুপুরের পরে শিয়ালদহমুখী ট্রেন এক-দেড় ঘণ্টা পরপর আসছে। তার সবই দূরের (কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, গেদে ইত্যাদি) ট্রেন। প্রথম থেকেই সেগুলি ভিড়ে ঠাসাঠাসি হয়ে থাকে। ফলে কল্যাণীর পরে যাত্রীরা ওই সব ট্রেনে আর পা রাখতেও পারছেন না। যাত্রীদের দাবি, দুপুরের দিকে কম দূরত্বের বেশ কিছু লোকাল চালানো হোক। তাতে যাত্রীদের কিছুটা সুবিধা হবে।
একই সঙ্গে শিয়ালদহে পূর্ব রেলের বেশ কয়েকটি লোকাল ট্রেনে সামনে-পিছনে দু’টি কামরা মহিলাদের জন্য চিহ্নিত করায় আপত্তি তুলেছে যাত্রী সমিতি। তাদের বক্তব্য, এমনিতেই শিয়ালদহের বিভিন্ন শাখায়, বিশেষ করে মেন লাইনে যাত্রী ক্রমশ বাড়ছে। কিন্তু ১০ বছরে ধরে আশ্বস্ত করেও রেলকর্তারা এই লাইনে ১২ কামরার ট্রেন এখনও চালু করতে পারেননি। ফলে এমনিতেই ট্রেনে যাত্রীদের নাভিশ্বাস উঠছে। তার মধ্যে আচমকা একটির বদলে দু’টি কামরা মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত করে দেওয়ায় হয়রানি চরমে উঠেছে। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে বিষয়টি নিয়ে রেল-কর্তৃপক্ষ ফের যাত্রীদের সঙ্গে আলোচনায় বসুন।
শিয়ালদহ যাত্রী সমিতির বক্তব্য, মহিলাদের ভাল ভাবে ট্রেন সফরের ব্যবস্থা নিশ্চয়ই দরকার। কিন্তু যেখানে ট্রেনে পা রাখাই দায়, সেখানে একটির বদলে দু’টি কামরা মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত করে দিলে সাধারণ যাত্রীরা কোথায় যাবেন? তাঁদের যাতায়াতের কষ্ট তো আরও বাড়ছে। এ ব্যাপারে সমিতি রেলমন্ত্রী এবং পূর্ব রেলের কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে অনুরোধ করেছে।
পূর্ব রেলের কর্তারা অবশ্য জানাচ্ছেন, মহিলাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ট্রেনে দু’টি কামরা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করার আবোদন আসছিল তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy