মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজেপি-কে ‘ভারতছাড়া’ করার হুঁশিয়ারির জবাবে ‘তৃণমূল, তোষণ ছাড়ো’— স্লোগান নিয়ে পথে নামবে রাজ্য বিজেপি। শুক্রবার তৃণমূলের শহিদ সমাবেশের মঞ্চ থেকে মমতার আক্রমণের জবাবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ পাল্টা কটাক্ষ করেন, ‘‘বিজেপি-কে ভারতছাড়া করতে গিয়ে উনি নিজেই না বাংলাছাড়া হয়ে যান, দেখুন!’’ তাঁর আরও বক্তব্য, নোট বাতিলের সময়ও মমতা বিভিন্ন রাজ্যে ঘুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হঠিয়ে ‘দেশ বাঁচানোর’ ডাক দিয়েছিলেন। কিন্তু তখনই চার রাজ্যে বিজেপি সরকার গড়েছিল। এ বারও মমতার হুঁশিয়ারি শেষ না হতেই বিজেপি এ রাজ্যে কয়েক কদম এগিয়ে যাবে।
দিলীপবাবু জানিয়েছেন, মমতার ঘোষিত ৯ অগস্টের ‘বিজেপি, ভারত ছাড়ো’ কর্মসূচির মোকাবিলায় ওই দিন থেকেই তাঁদের দল ‘তৃণমূল তোষণ ছাড়ো’— এই দাবিতে সই সংগ্রহে নামবে। রাজ্য থেকে ব্লক স্তর পর্যন্ত ভিযান ছড়িয়ে দেওয়া হবে। বস্তুত, বিজেপির ইঙ্গিত, তাঁদের আন্দোলন এবং সিবিআইয়ের নারদ ও সারদা কেলেঙ্কারির তদন্ত এমন ভাবেই এগোবে, যাতে আগামী বছর ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ নিয়েই প্রশ্নচিহ্ন দেখা দেবে। দিলীপবাবুর কথায়, ‘‘মদন মিত্র মঞ্চে উঠতে পারেননি। আগামী বার আদৌ এই সমাবেশ হবে কি না, হলে কোথায় হবে, কে ভিতরে থাকবেন, তাপস পালের মতো আরও কত নেতা হাসপাতালে থাকবেন, কে বলতে পারে?’’
তবে তৃণমূল নেত্রী এ দিন বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি দিলীপবাবুকে মোটেই গুরুত্ব দেন না। বিজেপি নেতার একটি বক্তৃতার রেশ ধরে মমতা বলেন, ‘‘কেউ কেউ চুনোপুঁটির থেকেও চুনো। আমার বাড়িতে গিয়ে নাকি আগুন লাগিয়ে দিয়ে আসবে!’’
বামেরা অবশ্য মমতার বিজেপি বিরোধিতাকে বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করছে না। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র এ দিনই বলেন, ‘‘জ্যোতিবাবু যেটা বলতেন, আমরা সেটাই বলছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবচেয়ে বড় অন্যায়টা করেছেন— নিজেই বিজেপি-কে এ রাজ্যে ঢুকিয়েছেন। আর এখন বিজেপির বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ করছেন, ছ’ বছর ধরে আমরা ওঁর বিরুদ্ধেই সেগুলো বলে আসছি। কেন্দ্র, রাজ্য দুটো সরকারের আচরণ তো একই!’’
আর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর বক্তব্য, ‘‘৯ অগস্ট ভারতের ইতিহাসে একটি পুণ্য দিন। কংগ্রেস ওই দিনটায় কী করেছিল, সকলেই জানে। কোনও দলই যেন ওই দিনটাকে নিজের নিজের রাজনৈতিক ফয়দা তুলতে ব্যবহার না করে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy