—ফাইল চিত্র।
চাষীদের হাতে জমির দখল তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিঙ্গুরের যে গোপালনগর মৌজা থেকে জমি অধিগ্রহণ শুরু হয়েছিল, সেই গোপালনগরে গিয়েই জমির দখল কৃষকদের হাতে ফেরানো শুরু করলেন তিনি। নিজের হাতে জমিতে ছড়িয়ে দিলেন শস্যের বীজ। মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ঠিক কী ভাবে জমির দখল নেওয়া শুরু করলেন কৃষকরা, দেখে নেওয়া যাক এক ঝলকে:
• সিঙ্গুরের জমির দখল কৃষকের হাতে তুলে দিতে পেরে খুশি মুখ্যমন্ত্রী। দীর্ঘ আন্দোলনের কথা তুলে ধরলেন গোপালনগরের মঞ্চ থেকে।
• ‘‘অধিকার কেউ কাউকে দেয় না, অধিকার কেড়ে নিতে হয়।’’ সিঙ্গুরের মঞ্চে মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর।
• রাজ্য প্রশাসনের ভূয়সী প্রশংসায় মুখ্যমন্ত্রী। সিঙ্গুরের জমি দ্রুত কৃষকদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট সব বিভাগ অত্যন্ত ভাল কাজ করেছে, মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর।
• সিঙ্গুরের জমি ফেরানোর প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করতে বিশেষ ভূমিকা নেওয়ায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রশংসা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
• সিঙ্গুরের মানুষ জমি ফেরতের প্রক্রিয়ায় বিশেষ সহায়তা করেছেন, বললেন মুখ্যমন্ত্রী।
• সারা বিশ্বে সিঙ্গুর বিশেষ মডেল হবে, বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
• মুখ্যমন্ত্রীর আগে বক্তব্য রাখেন, শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, কৃষি মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু।
• ‘‘এত ব্যস্ততার মধ্যেও প্রতি দিন রাতে মুখ্যমন্ত্রী আমাদের জিজ্ঞাসা করতেন, কত দূর এগোল? রোজ বলতেন, আরও তাড়াতাড়ি জমি ফেরানোর কাজ শেষ করতে হবে।’’ বললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
• ‘‘এত বড় জমি রক্ষার আন্দোলন, আর কোথাও হয়নি। অতীতে হয়নি, ভবিষ্যতেও কখনও হবে কি না আমি জানি না। তেভাগা আন্দোলন হয়েছিল, কিন্তু তা এত সফল হয়নি। এই লড়াই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এবং এই জয় সিঙ্গুরের কৃষকদের।’’ বললেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
• গোপালনগর মৌজা থেকেই জমি অধিগ্রহণ করা শুরু হয়েছিল ন্যানো প্রকল্পের জন্য। তাই গোপালনগর থেকেই কৃষকের হাতে জমির দখল তুলে দেওয়া শুরু করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
• মোট ১০৩ একর জমিকে আজ কৃষকদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। ২২১৬ জন কৃষকের হাতে আজ এই জমির দখল তুলে দেওয়া হচ্ছে।
• ২১ জন কৃষকের হাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই জমি তুলে দিয়েছেন।
• ৯৯৭ একর জমির মধ্যে ৯৩১ একরকে ইতিমধ্যেই চাষযোগ্য করে তোলা হয়েছে। ১০, ৪৩৬ জন কৃষকের হাতে এই জমি তুলে দেওয়া হবে ১০ নভেম্বরের মধ্যেই। জানালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
• কৃষকদের হাতে বেগুন গাছের চারা এবং সর্ষের বীজ তুলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
• দুপুর ২টোর আগেই সিঙ্গুরে পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোপালনগর ঘোষপাড়ায় মুখ্যমন্ত্রীর সভামঞ্চ তৈরি হয়েছিল। সভামঞ্চে মূল অনুষ্ঠান শুরু আগেই সরাসরি কৃষিজমিতে নেমে পড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
• কৃষিজমিতে নেমে নিজের হাতে জমিতে শস্যের বীজ ছড়িয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ১০ বছর পরে ফের চাষের সূচনা সিঙ্গুরের জমিতে।
• সিঙ্গুরে কৃষকদের মধ্যে জমির পড়চা এবং ক্ষতিপূরণের চেক আগেই বিলি হয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার, কৃষকদের হাতে জমির ফিজিক্যাল পজেশন তুলে দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ, জমির কাগজ কৃষকরা আগেই পেয়েছিলেন। আজ থেকে তাঁরা জমির দখলও পেতে শুরু করলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy