Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

বাহিনী থাকুক, মোদীকে লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী

বাহিনী তুলে নেওয়ার খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহকে ফোন করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। এ দিন আরও এক ধাপ এগিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রাজনাথকে চিঠি লিখে তিনি জানান, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত দার্জিলিঙে শান্তি ফেরানোর পথে একটি প্রতিকূল পদক্ষেপ।

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০১৭ ০৪:১৪
Share: Save:

পাহাড় থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে ঘিরে রবিবার কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে তাল ঠোকাঠুকি শুরু হয়েছিল। সোমবার তা সপ্তমে পৌঁছল।

বাহিনী তুলে নেওয়ার খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহকে ফোন করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। এ দিন আরও এক ধাপ এগিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রাজনাথকে চিঠি লিখে তিনি জানান, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত দার্জিলিঙে শান্তি ফেরানোর পথে একটি প্রতিকূল পদক্ষেপ।

আরও পড়ুন: পাহাড় নিয়ে দোষারোপ বিজেপি-কে

কেন্দ্র অবশ্য সিদ্ধান্তে অটল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক কর্তা জানান, হিমাচলপ্রদেশে বিধানসভার নির্বাচন ঘোষণা হওয়ায় পাহাড় থেকে ৭ কোম্পানি বাহিনী সরানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। সোমবার সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে যাওয়ার জন্য গোছগাছ শুরু করে দেয়। রাতে মিরিক থেকে ৩ কোম্পানি বাহিনী সরেও যায়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আরও অভিযোগ, পাহাড়ে স্রেফ লাঠি হাতে দাঁড় করিয়ে রাখা হতো কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। ওই কর্তার কথায়, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনী একটি প্রশিক্ষিত ফৌজ। লাঠি হাতে পাহারা দেওয়ার জন্য তাদের পাঠানো হয় না।’’

মোদী ও রাজনাথকে লেখা চিঠিতে মমতা বলেছেন, ‘‘কেন্দ্রকে অনুরোধ করেছি, দার্জিলিঙের পরিস্থিতি তারা যেন ছোট মনের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে না দেখে।’’ পরে তিনি বলেন, ‘‘পাহাড়ে ১১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল। আদালতের নির্দেশে পরে আরও চার কোম্পানি মোতায়েন হয়। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের ফলে হাইকোর্টের রায়ের অবমাননা হয়েছে।’’ কেন্দ্র তাঁর চিঠির প্রতি সুবিচার করবে, এই আশা পোষণ করেও মমতার হুঁশিয়ারি, ‘‘দার্জিলিঙে যদি অন্য রকম কিছু ঘটে তার জন্য কেন্দ্র দায়ী থাকবে।’’

কেন্দ্রের পাল্টা বক্তব্য, জরুরি পরিস্থিতির মোকাবিলাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কোনও রাজ্যে পাঠানো হয়। দার্জিলিঙের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। সেখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করায় বাহিনী তুলে নেওয়া হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আরও বক্তব্য, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় রাজ্য আরও বাহিনী প্রয়োজন মনে করলে রাজ্য পুলিশকে শক্তিশালী করুক। যেমন করেছে বিহার বা ঝাড়খণ্ড।

বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের অভিযোগ, রাজ্য পাহাড় পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেনি। আর সক্রিয় ভূমিকা নিতে কেন্দ্রের অনীহায় সমস্যা জটিল হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে বাহিনী কমানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আর্জি জানিয়েছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE