মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজস্থানের ঘটনায় নিহতের ধর্মীয় পরিচয়কে সামনে এনে বিজেপি রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসার জনসভায় মমতা বলেন, ‘‘রাজস্থানে এক জনকে পুড়িয়ে মেরে দেওয়া হল। আমি জানতে চাই না, তিনি হিন্দু না মুসলিম। আমি মনে করি, একটা প্রাণ চলে গেল। ওরা (বিজেপি) বিভেদ করে। এই সংস্কৃতি আমাদের নয়। আমরা এটা পছন্দ করি না।’’
মালদহের প্রৌঢ় আফরাজুল খানকে রাজস্থানে কুপিয়ে, পুড়িয়ে মারার পরেই সরব হয়েছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। রাজনৈতিক প্রতিবাদের পাশাপাশি প্রশাসনিক স্তরেও রাজ্য সরকার যোগাযোগ করে উদ্বেগ জানিয়েছে রাজস্থান সরকারের কাছে। কথা হয়েছে দুই রাজ্যের পুলিশের ডিজির মধ্যেও। মালদহে নিহতের বাড়িতে গিয়েছেন তৃণমূলের মন্ত্রী, সাংসদেরা।
রাজ্যে শাসক দলের এই ভূমিকা মানতে পারছে না বিজেপি। নানা ভাবে তৃণমূলের প্রতিবাদকে নস্যাৎ করতে পাল্টা যুক্তি সাজাচ্ছেন বিজেপি নেতারা। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘‘এ রাজ্যের শ্রমিকরা অন্য রাজ্যে কাজের খোঁজে যায় কেন? সরকারকে তার জবাব দিতে হবে।’’ আফরাজুলের পরিবারের পাশে সরকারের দাঁড়ানোকেও তিনি বলেছেন ‘আদিখ্যেতা’।
সোমবার কার্যত সে সবেরই জবাব দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘আদিবাসী, অনগ্রসর, সংখ্যালঘু ভাইবোনদের উন্নয়ন করছে রাজ্য সরকার। সবার জন্য উন্নয়ন আমাদের লক্ষ্য। আমরা হিন্দু-মুসলমানে, শিখ-খ্রিস্টানে, ব্রাহ্মণ-কায়স্থে, তফসিলি-আদিবাসীতে ভাগাভাগি করি না। আমরা মনে করি সবাই আমাদের পরিবারের আপন জন।’’ তাঁর দাবি, ‘‘সরকারি প্রকল্পের সুফল যেমন সংখ্যালঘুরা পান তেমনই যাঁরা সংখ্যালঘু নন তাঁরাও পান। ভাগাভাগি ওরা করে।’’
মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, ‘‘কন্যাশ্রীর মেয়েরা যখন স্কিমের টাকা পায়, তফসিলি ভাইবোনেরা যখন সবুজসাথীর সাইকেল পায়, তখন কি বিজেপির নেতারা দেখেন ওরা হিন্দু না মুসলমান, শিখ না খ্রিস্টান?’’
বিজেপির মহিলা মোর্চার সর্বভারতীয় সভানেত্রী বিজয়া রাহতকর ত্রিপুরায় এ দিন অবশ্য ‘লাভ জেহাদ’ প্রসঙ্গে দাবি করেন, ‘‘আমরা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেরই ব্যক্তিগত জীবনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতার পক্ষে। কিন্তু আমরা জবরদস্তির বিরুদ্ধে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy