সনিয়া গাঁধীর ডাকে সাড়া দিয়ে দিল্লি যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৬ তারিখ বিকালে কংগ্রেস সভানেত্রীর সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা। মূল আলোচ্য, আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী মহাজোট তৈরি।
গত সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী যখন উত্তরবঙ্গে ছিলেন, তখন তাঁকে ফোন করেন সনিয়া। দিল্লি আসার আমন্ত্রণ জানান। ঘনিষ্ঠ মহলে মমতা জানিয়েছেন, তিনি নিজেও বিজেপির বিরুদ্ধে সর্বসম্মত বিরোধী প্রার্থী দেওয়ার পক্ষপাতী। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী দলগুলিকে একজোট করার যে কৌশল কংগ্রেস নিয়েছে, তাকে পূর্ণ মদত জোগাতে চান তিনি। সনিয়া ইতিমধ্যেই একাধিক বিজেপি-বিরোধী নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন। সেই প্রক্রিয়ার অঙ্গ হিসেবেই মমতার সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী শিবিরে কংগ্রেসের পর তৃণমূলের ভোটই সবচেয়ে বেশি।
মমতার দিক থেকেও এই সফর তাৎপর্যপূর্ণ— বলছে তৃণমূল শিবির। ক’দিন আগেই রাজ্যে এসে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ বলে গিয়েছেন, ‘এ বার লক্ষ্য বাংলা’। মুখ্যমন্ত্রীও পাল্টা বলেছেন, বিজেপি বাংলাকে টার্গেট করলে তিনি দিল্লিকে টার্গেট করবেন। সেই হুঁশিয়ারি যে ফাঁপা নয়, তা বোঝাতেই এ বারের দিল্লি সফরকে মমতা কাজে লাগাবেন। শুধু সনিয়া নন, জেডি (ইউ), এনসিপি, আরজেডি, বিজেডির মতো আঞ্চলিক দলগুলির নেতাদের সঙ্গেও বৈঠকে বসতে পারেন তিনি।
আরও পড়ুন:বিচারপতি কারনানকে ছ’মাসের কারাদণ্ড দিল সুপ্রিম কোর্ট
সনিয়া-মমতার এই কাছাকাছি আসার প্রভাব রাজ্য রাজনীতিতে কী পড়বে, সেই প্রশ্ন উঠেছে। কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব সূত্রে অবশ্য বলা হচ্ছে, এই বোঝাপড়ার চেষ্টা নেহাতই ইস্যু-ভিত্তিক। কিন্তু রাজ্যে কংগ্রেস যে আন্দোলন করছে, তাতে রাশ টানা হবে না।
এমন ব্যবস্থায় মমতারও বিশেষ আপত্তি নেই বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী জোট গড়া গেলে ২০১৯ এর লোকসভা ভোটে বিজেপির মোকাবিলায় এক ধাপ এগিয়ে থাকা যাবে বলেই মনে করছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy