দীর্ঘদিন ধরে হাজারো অভিযোগ ওঠার পরে আরাবুল ইসলামকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল ঠিকই। তবে কিছু দিন পরে তাঁকে ফিরিয়েও নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই মমতাই সোমবার ভাঙড়ের ভোজেরহাটের সভায় জানিয়ে দেন, আরাবুল ও কাইজার আহমেদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে তিনিই শুনবেন এবং দেখে নেবেন।
তখন সভামঞ্চে ছিলেন জেলা পরিষদে ভাঙড়-১ ব্লকের সদস্য কাইজার। কিন্তু দেখা যায়নি ভাঙড়-২ ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আরাবুলকে। একদা ভাঙড়ের ‘তাজা নেতা’ আরাবুলের কাঁধে ভর দিয়েই সিপিএমের শক্ত ঘাঁটি দখল করেছে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রীর সভায় তাঁর অনুপস্থিতি নিয়ে দলে গুঞ্জন চলছে।
জেলা তৃণমূলের নেতাদের কথায়, পাওয়ার গ্রিড-বিরোধী আন্দোলনের মোকাবিলা করতে গিয়ে আরাবুলের ভূমিকায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী তাই ওই সভায় নতুন কোনও বিতর্কের সৃষ্টির সুযোগ দিতে চাননি। জেলা তৃণমূলের এক নেতা জানাচ্ছেন, দলের শীর্ষ স্তর থেকেই আরাবুলকে ওই সভায় আসতে বারণ করা হয়ে থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: গুরুঙ্গদের পাশে নেই, রাজ্যকেও দুষছে বাম, কংগ্রেস
তৃণমূলের জেলা নেতাদের কথায়, ভাঙড় কলেজে শিক্ষিকাকে জগ ছোড়া বা রেজ্জাক মোল্লাকে মারধর করা পরেও মুখ্যমন্ত্রী শুধু ‘দুষ্টুমি কোরো না’ বলে আরাবুলকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। আরাবুলের বিরুদ্ধে জমি দখল, দলীয় কর্মী খুনে জড়িত থাকার ভূরি ভূরি অভিযোগ জমা পড়েছে। তার পরেও তেমন কঠোর হননি মমতা। রেজ্জাককে মারধরের পরে মাসখানেক হাজতবাস হয় আরাবুলের। সাসপেন্ড করা হয়েছিল দল থেকেও। কিন্তু মাস ছয়েক পরেই তাঁকে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। তবে পাওয়ার গ্রিড কাণ্ডের পরে আরাবুলের বিষয়ে ‘সদয়’ হওয়ার কোনও ইঙ্গিত দেননি মমতা। পাওয়ার গ্রিডের বিরুদ্ধে যাঁরা আন্দোলনে নেমেছেন, ভাঙড়ে নিজের সভা থেকে যাতে কোনও বিরূপ বার্তা তাঁদের কাছে না-পৌঁছয়, সেই বিষয়ে সচেতন ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আরাবুলকে ওই সভা থেকে দূরে রেখে ক্ষতে মলম লাগানোরই একটা চেষ্টা হয়েছে বলে মনে করছেন দলের অনেক নেতা।
ওই সভায় যাননি কেন?
আরাবুল বলেন, ‘‘পৈলানের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন, রাস্তার কাজের সূচনার সময় সকলেই নিজের এলাকায় থাকবে। তাই ওই দিন সভায় যাইনি। নিজের এলাকায় পাঁচটি রাস্তার সূচনা করেছি। দিদির নির্দেশ পালন করেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy