চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদে কংগ্রেসের বিধায়ক আসিফ মেহেবুব। তাই মুখ্যমন্ত্রীর তোপের মুখে পড়লেন স্বাস্থ্যসচিব। মঙ্গলবার মালদহ দুর্গাকিঙ্কর সদনে প্রশাসনিক বৈঠক চলছিল। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য সচিবকে কার্যত ধমক দিয়ে কৈফিয়ত চান। ওই পদে মালদহের জেলাশাসককে দ্রুত দায়িত্ব দেওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশে জোর বিতর্ক জেলার রাজনীতিতে।
এ দিন বিকেলে বৈঠকের শুরুতে জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার অমিত দাঁ ও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৈয়দ শাহজাহান সিরাজের কাছে জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্য সচিব অনিল ভার্মাও নানা উত্তর দেন। আলোচনায় উঠে আসে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের পরিষেবার প্রসঙ্গও। চাঁচল হাসপাতাল থেকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যখনতখন রেফারের অভিযোগ ওঠে। সে সময় মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানতে চান যে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান কে? এতে রীতিমতো মুখ চাওয়া-চাওয়ি শুরু করেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও স্বাস্থ্য সচিব। শেষপর্যন্ত স্বাস্থ্য সচিবই জানান, সেই পদে রয়েছেন বিধায়ক। আর তাতেই রেগে দিয়ে কার্যত ধমকের সুরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি তো করিনি, কী করে হল? কে বলেছে? এগুলি কে করল? এ জন্যই ওই হাসপাতালে কাজ হচ্ছে না। আমাকে না জানিয়ে নিজেরাই করে দিচ্ছে। ডিএমকে দায়িত্ব দাও, আমি অনেক জায়গাতেই ডিএমকে করে দিয়েছি। ডিএম রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হলে হাসপাতাল ভাল চলবে।’’
এই ঘটনায় জেলায় জোর শোরগোল পড়েছে। চাঁচলের বিধায়ক আসিফ মেহেবুব বলেন, ‘‘এই ঘটনা অস্বাভাবিক কিছু নয়। এই সরকারের আমলে নির্বাচিত বিরোধী জনপ্রতিনিধিদের মর্যাদাই দেওয়া হয় না। আমি পদের জন্য লালায়িত নই। স্বাস্থ্য দফতরই কয়েকমাস আগে দিয়েছিল। যদি কেড়ে নেয় নেবে।’’
জেলা কংগ্রেসের সভানেত্রী মৌসম বেনজির নুর বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে মালদহ জবাব দেবে। তৈরি থাকুন মুখ্যমন্ত্রী।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy