সবংয়ের সজনীকান্ত মহাবিদ্যালয়ে ছাত্র পরিষদ কর্মী খুনে মূল অভিযোগকারীকেই গ্রেফতারের প্রতিবাদে আগামিকাল, সোমবার কলেজের সামনে অবস্থানে বসছেন মানস ভুঁইয়া। সোমবার বেলা ১টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থানে বসবেন সবংয়ের এই বর্ষীয়ান কংগ্রেস বিধায়ক। কলেজের সামনে অবস্থানের পরেও প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না হলে কলকাতার ময়দানে গাঁধী মূর্তির পাদদেশে তিনি অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনে বসবেন বলে শনিবার মানসবাবু হুমকি দিয়েছেন।
ছাত্র পরিষদ পরিচালিত ওই কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক সৌমেন গঙ্গোপাধ্যায়। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা কৃষ্ণপ্রসাদ জানাকে পিটিয়ে খুন করেছে, কলেজের অধ্যক্ষের কাছে এই অভিযোগ প্রথম লিখিতভাবে জানিয়েছিল সৌমেনই। সেই লিখিত অভিযোগই সবং থানায় এফআইআর হিসেবে গৃহীত হয়। সেই সৌমেনকেই পুলিশ শুক্রবার গ্রেফতার করে। শনিবার ধৃতকে মেদিনীপুরের ভারপ্রাপ্ত সিজেএম মহম্মদ মহিবুল্লার এজলাসে তুললে পুলিশ ১০ দিনের জন্য তাঁকে হেফাজতে চায়। আদালত তাঁকে তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। অভিযুক্ত-পক্ষের আইনজীবী চন্দন গুহ জামিনের আবেদন করে বলেন, “সৌমেন অভিযোগকারী। পুলিশ তাঁকেই গ্রেফতার করল। ভাবা যায়? আসলে পুলিশ অন্য পথে তদন্ত করতে চাইছে।” গোপন জবানবন্দিতে সৌমেনের নাম মিলেছে বলে সরকারপক্ষের আইনজীবী দীপক সাহার দাবি।
কলেজের সামনে অবস্থানে বসার কথা ঘোষণা করে মানসবাবু বলেন, ‘‘সৌমেনকে পুলিশ গ্রেফতার করল! অথচ অভিযোগ পাওয়ার পরেও কলেজের অধ্যক্ষ নীরব থাকলেন। অ্যাম্বুল্যান্স ডেকে কৃষ্ণপ্রসাদকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করলেন না! সেই অধ্যক্ষকে কেন গ্রেফতার করা হবে না?’’ কলেজের সামনে মানসবাবু অবস্থানে বসলে শাসক দলও তেমাথানিতে পাল্টা ধর্নায় বসবে বলে হুমকি দেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা অমূল্য মাইতি।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত ছাত্র পরিষদের তিন জনকেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ছাত্র পরিষদের অন্তর্দ্বন্দ্বে কৃষ্ণপ্রসাদের মৃত্যু হয়েছে বলে ঘটনার পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন। তাঁর সেই তত্ত্বকেই প্রতিষ্ঠা করতে পুলিশ সবংয়ে ছাত্র পরিষদের সদস্যদের গ্রেফতার করছে বলে কংগ্রেসের অভিযোগ। এই অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে মানসবাবুর চ্যালেঞ্জ, ‘‘হিম্মত থাকলে আপনার পুলিশ সুপার(পশ্চিম মেদিনীপুরের)কে বলুন, সিসিটিভি ফুটেজ দেখাতে। সেখানে যদি দেখা যায় ছাত্র পরিষদের ছেলেরা কৃষ্ণপ্রসাদকে মেরেছে, আমি নিজে ছাত্র পরিষদের ছেলেদের পুলিশের কাছে তুলে দেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy