সুনসান: কর্মব্যস্ত সোমবারে গমগম করে এনজেপি স্টেশন। বন্যা বিপর্যয়ে একের পর এক ট্রেন বাতিলের জেরে সেই স্টেশনেরই এমন খাঁ খাঁ করা বিরল চেহারা দেখা গেল এ দিন। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক
ভেঙে পড়া রেল সেতু সারাতে গেলে আগে সামলাতে হচ্ছে জলের তোড়। পাথর ফেলে বাঁধ তৈরি করে নতুন করে লাইন বসাতেও সময় লাগছে। তাই উত্তরবঙ্গে টানা রেল চলাচল কবে শুরু হবে, তা এখনও নিশ্চিত নয়। বিশেষ করে, বিহারের কাটিহারের কাছে সুধানিয়া-তিলতার মধ্যের সেতুটি মেরামতির কাজ শেষ না করা পর্যন্ত গুয়াহাটি থেকে মালদহ টানা ট্রেন চালানো প্রায় অসম্ভব বলে জানিয়ে দিয়েছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল কতৃর্পক্ষ। কবে ওই কাজ শেষ হবে, তাও পরিষ্কার নয়। তাই উত্তরবঙ্গ ও অসম রেলপথে যাত্রীদের দুর্ভোগ আপাতত আরও কয়েক দিন ধরে চলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে মালদহ থেকে রাজ্য সড়ক ধরে ঘুর পথে বুনিয়াদপুর হয়ে রায়গঞ্জ পর্যন্ত যানবাহন চালু হয়েছে। রাজ্য পরিবহণ দফতর বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি থেকে রায়গঞ্জ ও মালদহ থেকে রায়গঞ্জ বাস চালু করে দিয়েছে। সরকারি বাসের পাশাপাশি অতিরিক্ত বাস চালানোর জন্য বেসরকারি বাসকেও নতুন করে ওই রাস্তায় পারমিট দেওয়া হয়েছে বলে পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর।
ট্রেনকে সচল করতে জলের তোড়ে ক্ষতিগ্রস্ত গুরুত্বপূর্ণ ৭টি এলাকায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় লাইন মেরামতির কাজ চালাচ্ছেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের ৮০০ কর্মী। তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। কিন্তু পাথর ফেলে বাঁধ তৈরি করে জল রুখে নতুন করে লাইন বসাতে গিয়েই দেরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রেলকর্তারা।
আরও পড়ুন: বাসে বাড়ির পথে রেলের আটক যাত্রীরা
রেলকর্তারা জানিয়েছেন, আপ এবং ডাউন লাইন মিলিয়ে সুধানিয়া-তিলতার সেতুটির প্রায় ১২০ মিটার লাইন জলের উপরে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। যে পরিমাণ বোল্ডার এনে বাঁধ তৈরি করে লাইন বসাতে হবে, তা জোগাড় করে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়াটাই এখন বিরাট কাজ।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের প্রায় হাজার কিলোমিটার রেল লাইন ক্ষতিগ্রস্ত। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, এই পরিস্থিতি সামলাতে প্রায় ১ হাজার রেক বোল্ডার প্রয়োজন।
রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, দু’পার থেকে কিছুটা করে এলাকায় বোল্ডার দিয়ে বাঁধ করা হবে। তার পরে মাঝে লোহার গার্ডার বসিয়ে সাময়িক ভাবে রেল লাইন বসিয়ে গতি কমিয়ে ট্রেন চালানোর ব্যবস্থা করা হবে।
এ দিন গুয়াহাটি থেকে কলকাতা ও অন্য রাজ্যের ট্রেনগুলিকে বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি কলকাতা থেকেও বাতিল করা হয়েছে দার্জিলিং মেল-সহ একাধিক ট্রেন। তবে মেরামতির পরে এ দিন ধুবুড়ির শাখায় ট্রেন চালানো শুরু করা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy