Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

বাংলা ভাগের বিরোধিতায় মিছিল

মহামিছিলের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত হাঁটেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে ‘বিজেপি ভারত ছাড়’ এবং পাহাড়ে অশান্তির বিরুদ্ধে ৯ অগস্ট থেকে মিছিল শুরু হয়েছে শিলিগুড়িতে।

বাংলা ভাগের বিরোধিতায় দেবীডাঙ থেকে শিলিগুড়ির মিলন মোড় পর্যন্ত মিছিল তৃণমূলের। যোগ দেন মন্ত্রী গৌতম দেব-সহ নেতৃত্বরা। শনিবার। ছবি: স্বরূপ সরকার

বাংলা ভাগের বিরোধিতায় দেবীডাঙ থেকে শিলিগুড়ির মিলন মোড় পর্যন্ত মিছিল তৃণমূলের। যোগ দেন মন্ত্রী গৌতম দেব-সহ নেতৃত্বরা। শনিবার। ছবি: স্বরূপ সরকার

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০১৭ ০৪:১৭
Share: Save:

গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে কিছুদিন আগেও এখানে মিছিল হয়েছে। তা নিয়ে গোলমালও পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের। শনিবার সেই মিলন মোড়েই গোর্খাল্যান্ডের বিরোধিতায়, বাংলাভাগের চেষ্টার বিরুদ্ধে তৃণমূলের মিছিলে পা মেলালেন স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে। তাঁরা জানিয়ে দিলেন পাহাড়ের অশান্তি এখানে তাঁরা চান না। বাংলা ভাগের চেষ্টা করলে রুখতে হবে। শিলিগুড়ির উপকণ্ঠে পাহাড় লাগোয়া মিলন মোড়ে এ দিন মিছিলে কয়েক হাজার মানুষ সামিল হন। বিমল গুরুঙ্গের বিরুদ্ধে, পাহাড় সমতলের ঐক্য চেয়ে স্লোগান ওঠে মিছিলে।

মহামিছিলের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত হাঁটেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে ‘বিজেপি ভারত ছাড়’ এবং পাহাড়ে অশান্তির বিরুদ্ধে ৯ অগস্ট থেকে মিছিল শুরু হয়েছে শিলিগুড়িতে। পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা মিছিল, সভা করে বার্তা দিতে চাইছি পাহাড় সমতলের ঐক্যের, মিলন, সম্প্রীতির। আন্দোলনকারীদের বলব বন্‌ধ প্রত্যাহার করে আলোচনায় আসুন। মুখ্যমন্ত্রী বারবার আবেদন জানিয়েছেন। বিমল গুরুঙ্গদের বার্তা দিতে চাই সমতলে কোনও রকম অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা হলে তা বরদাস্ত করা হবে না।’’ অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ভাবে এবং প্রশাসনিক সমস্ত দিক থেকেই তাঁরা ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।

এ দিনের মিলন মোড়, দেবীডাঙা কলোনি, কলাবাড়ি, ডাকনিকাটা এলাকা থেকে প্রচুর মানুষ সভায় আসেন। পরে তাঁরা মিছিলেও হাঁটেন। দেবীডাঙা থেকে মিলন মোড় প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তা বাংলাভাগের চেষ্টার বিরুদ্ধে গলা মেলান সকলে। এলাকার বাসিন্দা জিতেন নরবু, অনিশ শৈব, অঞ্জলি রায়রা বলেন, ‘‘শান্তিপ্রিয় এই এলাকাকে অশান্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। পাহাড়ের আন্দোলনের জন্য এখানে যাতে অশান্তি না হয় তা দেখতে হবে।’’

এ দিন মিছিল শুরু হয় দেবীডাঙা থেকে। সেখানে একটি মাঠে সভার আয়োজনও করা হয়। সেখানে মোর্চা থেকে স্থানীয় কর্মী সমর্থকদের অনেকে তৃণমূলে যোগ দেন। সিপিএম-বিজেপি থেকেও অনেকে যোগ দেন বলে দাবি করা হয়। মোর্চা নেতৃত্বের কাছে অবশ্য এ ধরনের কোনও খবর নেই বলে জানানো হয়। সিপিএম, বিজেপির তরফে জানানো হয় তাদের কেউ দল ছাড়েনি। পুরসভার বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার, কৃষ্ণ পাল, মদন ভট্টাচার্য, তৃণমূলের যুব সভাপতি বিকাশ সরকারেরা বাংলাভাগের বিরুদ্ধে সভায় বক্তব্য রাখেন, মিছিলে হাঁটেন। বৃহস্পতিবার শালুগাড়ায় সভা ও মিছিল হয়েছে। মন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামীতে সুকনা, পানিঘাটা, নেপানিয়া, কদমতলা সব জায়গাতেই বাংলাভাগের চেষ্টার বিরুদ্ধে মিছিল, সভা হবে। আজ, রবিবার নকশালবাড়িতে সভা ও মিছিল হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE