প্রতীকী ছবি।
রাতের রাজধানীতে ঘরে ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন নির্ভয়া। আর বাড়ি ফেরা হয়নি তাঁর। কলেজ থেকে বাড়ি ফেরা হয়নি কামদুনির ধর্ষিতা মেয়েরও। নৃশংসতায় এ বার সেই সারিতেই জায়গা করে নিল করণদিঘি। ১৪ বছরের স্কুল ছাত্রীকে রাতের অন্ধকারে বাড়ির বিছানা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের পর খুন করে সেই বিছানাতেই রেখে দিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা।
রাস পূর্ণিমায় যাত্রা দেখতে গিয়েছিলেন বাবা-মা। মাত্র ঘণ্টাখানেকের ব্যবধানে বাড়ি ফিরে রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়েকে পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁদের চিৎকার শুনে ছুটে আসেন পড়শিরা। শুক্রবার গভীর রাতের এই ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘির কাদিরগছ। ঘটনার খবর পেয়ে এ দিন সকালে গ্রামে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।
আরও পড়ুন: সিআইডি থেকে বদলি মুকুল-ঘনিষ্ঠ
ওই অষ্টম শ্রেণির স্কুল ছাত্রীর বাবা পেশায় দিনমজুর। চার মেয়ে তাঁর। রাস পূর্ণিমার রাতে বাড়ি থেকে মাত্র দু’শো মিটার দূরে বসেছিল যাত্রার আসর। মেয়েরা কেউ যেতে না চাওয়ায় তাদের বাড়িতে রেখে স্ত্রীকে নিয়ে গিয়েছিলেন যাত্রা শুনতে। বাবা মা ফিরলে দরজা খুলতে হবে। তাই তিন বোনকে ঘরে ঘুমোতে বলে নিজে বারান্দায় শুয়েছিল ছাত্রীটি। কিন্তু বাবা মা ফিরে এসে বহুবার ডাকাডাকি করেও আর তার সাড়া পাননি।
এলাকার বাসিন্দারা জানান, বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে লিচুবাগানে তাকে ধর্ষণ করে দুষ্কৃতীরা। কারণ কিশোরীর দেহে লতা পাতা জড়ানো ছিল। সারা শরীরে ছিল কাদা-মাটির দাগ। স্থানীয় ওই লিচু বাগানে ধস্তাধস্তির চিহ্নও পেয়েছে পুলিশ। ধর্ষকদের চিনে ফেলাতেই তাকে খুন করা হয়েছে ব়লে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। আদিবাসী সমন্বয় কমিটির সম্পাদক স্যামুয়েল মার্ডির কথায়, ‘‘শুনেছি ফোনে কেউ বিরক্ত করত ওই মেয়েটিকে। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক। পুলিশ এই নৃশংস ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আন্দোলনে নামব।’’
শনিবার রাত পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা না হলেও উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ বলেছেন, ‘‘দুষ্কৃতী কারা জানতে পেরেছি। শীঘ্রই তাদের গ্রেফতার করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy