প্রতীকী ছবি।
ক্লাসে ছাত্রছাত্রীদের বসার বেঞ্চ নেই। অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষিকার চেয়ার-টেবিলটুকুও নেই। তার উপরে স্কুল-চত্বর জুড়ে় স্যাঁতসেঁতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। ক্লাসঘরের পাশেই শৌচালয়। গন্ধে টেকা দায়।
রাজ্যের বহু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিকাঠামোর হাল এতটাই শোচনীয়! পরিস্থিতি এমনই যে, আদৌ পড়ুয়া আসবে কি না, তা নিয়ে ধন্দে স্কুলশিক্ষা দফতরও। উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলগুলির পরিকাঠামোরও বেহাল দশা। এই নিয়ে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলছেন শিক্ষকেরা।
স্কুলশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, বহু স্কুলে পঠনপাঠনের অবস্থাও শোচনীয়। অভিনবত্বের বালাই নেই। খুদে পড়ুয়াদের আকর্ষণ করার মতো কিছুই সেখানে পাওয়া যায় না বলে অভিভাবকদের একাংশের অভিযোগ। ২০১৬ সালে সর্বশিক্ষা মিশন গোটা রাজ্যে যে-সমীক্ষা চালিয়েছিল, তাতেই এই দৈন্য দশা ফুটে ওঠে।
শিক্ষা শিবিরের বক্তব্য, বাংলা মাধ্যমের স্কুলে পড়ুয়া টানতে হলে, অভিভাবকদের আগ্রহ বাড়াতে গেলে প্রাথমিক স্তর থেকে পরিকাঠামো-সহ পুরোটাই বদলে ফেলা উচিত। শিক্ষা-সরঞ্জামের সঙ্গে সঙ্গেই চাই দক্ষ শিক্ষক-শিক্ষিকা। স্কুলশিক্ষা দফতরের এক কর্তা জানান, সম্প্রতি বেশ কিছু স্কুলে কম্পিউটার ও প্রজেক্টর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ জায়গায় নেটওয়ার্ক না-থাকায় কম্পিউটার চালু করা যায়নি। বাংলা মাধ্যমের যে-সব স্কুলের জনপ্রিয়তা রয়েছে, সেগুলোর দিকেও সরকারের নজর নেই বলে অভিযোগ শিক্ষক সংগঠনের। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল জানান, জনপ্রিয় স্কুল নিয়েও ভাবনাচিন্তা করার সময় এসেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy