ঘাটালের বন্যা বিধ্বস্ত এলাকায় দেব। নিজস্ব চিত্র।
নতুন করে ভারী বৃষ্টি হয়নি। গত শুক্রবার থেকে জল ছাড়া বন্ধ করেছে ডিভিসি। ফলে, রাজ্যের সামগ্রিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়নি। কিন্তু বেশির ভাগ নদী-পুকুর-খাল এখনও টইটম্বুর থাকায় প্লাবিত এলাকাগুলি থেকে সে ভাবে জল নামছে না। তাই মানুষের দুর্ভোগ অব্যাহত। ভেঙেছে কয়েকটি নদীর বাঁধ। জলে গিয়েছে অজস্র ঘর।
পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের অবস্থা এখনও শোচনীয়। ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের একতলার সব ওয়ার্ডেই কোমরসমান জল। বিদ্যুৎ নেই। হাসপাতালের এসএনসিইউ সরানো হয়েছে পাশের সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। রবিবার বন্যা বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখলেন সাংসদ ও অভিনেতা দেব। জলে নেমে এলাকা ঘুরেও দেখেন তিনি।
এ দিন প্রথমে ঘাটালের মহকুমাশাসক পিনাকীরঞ্জন প্রধানের দফতরে যান দেব। সেখানে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ বৈঠক করে বন্যা পরিস্থিতি এবং ত্রাণ বিলি নিয়ে খোঁজখবর নেন সাংসদ। এর পরে ঘাটালের দলপতিপুরে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যান তিনি। সাংসদ বলেন,‘‘ গত ১০ বছরে এত বড় বন্যা হয়নি৷ রোজ রোজ বন্যার জল বাড়ছে৷ সঙ্গে মানুষের অসুবিধাও৷’’
আরও পড়ুন: ‘জানি না, জল নামলে কোথায় মাথা গুঁজব!’
তিনি জানান, প্রশাসনের তরফে সব চেষ্টাই করা হচ্ছে৷ বন্যায় আটকে থাকা, দুর্গতদের জন্য প্রয়োজনীও খাদ্যসামগ্রী, জল পাঠানো হচ্ছে৷ নিরাপদ জায়গায় তাঁদের পৌঁছে দিতে অতিরিক্ত নৌকার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে৷ চেষ্টা করা হচ্ছে, যত দ্রুত সম্ভব এই সমস্যা থেকে মানুষকে বের করে আনা যায়।
দেখুন সেই ভিডিও
অন্যদিকে, রাজ্যের অন্যান্য জেলাগুলোতেও চিত্রটা একই। উলুবেড়িয়ার বন্যা পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে কিছুটা ভাল। তবে এখনও জলমগ্ন আমতার ২ নম্বর ব্লক। ক্ষতিগ্রস্ত বহু মানুষ। দু’টি এলাকা মিলিয়ে মোট ১০০টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। এতদিন রাস্তায় জল জমে থাকার কারণে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে ট্রাক ঢুকতে পারছিল না। জল নেমে যাওয়ায় ট্রাকগুলি ঢুকতে শুরু করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy