বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে রাজ্য বিজেপির নামে নালিশ জানালেন মুকুল রায়।
দলবদলটা হয়েছিল ঘটা করেই। বিজেপি নেতারা আশা করেছিলেন, এ বার পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল নিধনে হইহই করে ঝাঁপিয়ে পড়বেন মুকুল রায়। কিন্তু কোথায় কী! এ নিয়ে দলের রাজ্য স্তরে যখন ফিসফিসানি শুরু হয়েছে, তখন দিল্লিতে মুকুল বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে বলেছেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোর বিরুদ্ধে দুর্নীতি সংক্রান্ত বোমা ফাটিয়েছেন। অথচ তাকে হাতিয়ার করে পথে নামার ব্যাপারে তেমন উৎসাহী নয় রাজ্য বিজেপি।
মুকুল-ঘনিষ্ঠদের অভিযোগ, রাজ্য বিজেপির একাংশ বিষয়টিকে মুকুল ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত সংঘাত বলে এড়িয়ে যাচ্ছেন। দলের এই মনোভাবে ক্ষুব্ধ মুকুল। তা ছাড়া, যে ভাবে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মুকুলের সঙ্গে কথা না বলেই তাঁর ছেলে শুভ্রাংশুর বিজেপিতে যোগদান নিয়ে মন্তব্য করেছেন, তাতেও অসন্তোষ জানিয়েছেন মুকুলবাবু। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে মুকুল জানিয়েছেন, মুরলীধর লেনে দলীয় দফতরে এখনও তাঁকে কোনও ঘর দেওয়া হয়নি। পাশাপাশি রাজ্যে তাঁকে কী করতে হবে, তা নিয়ে দিশাহীন তিনি। সামনেই উলুবেড়িয়ায় লোকসভার উপনির্বাচন। সেখানে তাঁকে কাজে লাগানো হবে কি না, তা নিয়েও অন্ধকারে একদা তৃণমূলের ভোট ম্যানেজার!
মুকুল অবশ্য প্রকাশ্যে এ সব নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি। উল্টে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে দলের সকলের ভাল সম্পর্ক।
ঘটনা হল, নারদ-সারদা কাণ্ডে অভিযুক্ত মুকুলকে দলে নেওয়ার ব্যাপারে আপত্তি ছিল সঙ্ঘ পরিবারের একাংশের। মুকুল নিজেও তা জানেন। তাই বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে নিজেকে তুলে ধরতে চেষ্টার কসুর করছেন না তিনি। মুকুল আজ বলেন, ‘‘কাল সকালে সঙ্ঘ পরিবারের লোকেদের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে কলকাতায়। তার পর দিলীপ ঘোষের সঙ্গে বৈঠক করে আবার দিল্লি ফিরব।’’ রবিবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে বৈঠক করার কথা মুকুলের। সোমবার তিনি দেখা করবেন নিতিন গডকড়ী, স্মৃতি ইরানির সঙ্গে। রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলার জন্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নড্ডারও সময় চেয়েছেন মুকুল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy