পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত
দলের কার্যকরী কমিটি থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর থেকে নাগাড়ে তৃণমূলকে বিঁধে বিজেপির প্রশস্তি করছেন মুকুল রায়। এমনকী, তৃণমূলের উত্থানের নেপথ্যে বিজেপির অবদান রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন মুকুল। এ বার তাঁকে পাল্টা আক্রমণে নেমে মুকুলকে ‘গদ্দার’ বলে আক্রমণ করলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর যুক্তি, দল ছাড়ার অনেক আগে থেকেই মুকুল দল ভাঙানোর খেলায় লেগে রয়েছে। যা আদতে ‘গদ্দারি’ই।
বৃহস্পতিবার পার্থবাবু সে জন্য মুকুলকে বিঁধে বলেন, ‘‘উনি গদ্দারি করার পরেও কী ভাবে মাথা উঁচু করে কথা বলছেন!’’ তৃণমূলের সাংসদ হওয়ার সুবাদে ঘনঘন দিল্লি গিয়ে বিজেপির সঙ্গে ‘যোগাযোগ’ বাড়ানোর কাজ মুকুল এতদিন করেছেন বলেও অভিযোগ করেন পার্থবাবু।
আরও পড়ুন: দিলীপের উপর হামলার নিন্দা বিরোধীদের
গত সপ্তাহে তৃণমূল ছাড়ার ঘোষণার পর থেকে মুকুল বিজেপি ‘সাম্প্রদায়িক’ নয় বলেও মন্তব্য করেছেন। বিজেপিকে ছাড়া তৃণমূলের জন্মই হত না বলেও দাবি করেছেন। দলের জন্মলগ্ন থেকে তৃণমূলের সঙ্গে থাকা মুকুলের এই মন্তব্যের জবাবে এ দিন পার্থবাবুর পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘আমার প্রাক্তন সহকর্মী নিজে যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, তখন কেন এ সব কথা বলেননি?’’ কেন সে সময় তৃণমূল বিজেপির হাত ধরেছিল, তার ব্যাখ্যা করে পার্থবাবু বলেন, ‘‘অটলবিহারী বাজপেয়ী অসাম্প্রদায়িক ছিলেন। তিনি ভারতকে এক করে রাখার চেষ্টা করেছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে আমরা তাঁর সঙ্গে ছিলাম। কিন্তু যেদিন বুঝেছি উনি এনডিএ-তে নেতৃত্ব দিচ্ছেন না, তার পরেই আমরা আলাদা হয়ে গিয়েছি। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে এখনও
লড়ে চলেছি।’’
১৯৯৮ সালে তৎকালীন বিজেপির সঙ্গে বর্তমান বিজেপির নীতিগত পার্থক্য আরও স্পষ্ট করে বোঝানোর চেষ্টা করেন পার্থবাবু। মুকুলকে পাল্টা আক্রমণ করে তাঁর বক্তব্য, ‘‘বাজপেয়ীজির মুখ আর নরেন্দ্র মোদী বা অমিত শাহর মুখ কি এক লাগছে মুকুলের? মাঝে মাঝে ওঁর স্মৃতিভ্রম হচ্ছে হয়তো!’’ মুকুলের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণে যেতে এ দিন ঘটা করে দলের সদর দফতরে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকেছিলেন পার্থবাবু। সে সব শুনে মুকুলের জবাব, ‘‘ও তো বাচ্চা ছেলে। যা বলার বলুক, আমি কিছু বলছি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy