Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

জেলাগুলির ক্ষতির রিপোর্ট চায় নবান্ন

রাজ্য সরকার মনে করছে, ভারী বৃষ্টির চেয়েও বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়ার ফলেই হাওড়া, হুগলি ও পশ্চিম মেদিনীপুর সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া ও পূর্ব বর্ধমানের রায়নাও একই ভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০১৭ ০৯:৫০
Share: Save:

বন্যা-কবলিত জেলাগুলির জেলাশাসকদের কাছে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব চাইল নবান্ন। অতিবৃষ্টি ও জলাধার থেকে ছা়ড়া জলে ওই সব জেলা কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা জানতে মুখ্যসচিব মলয় দে শনিবার বিভিন্ন দফতরের সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ভিডিও কনফারেন্স করেন জেলাশাসকদের সঙ্গেও। নবান্ন সূত্রের খবর, কাল, সোমবারের মধ্যেই জেলাশাসকদের কাছ থেকে ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন মুখ্যসচিব। তার ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে নবান্ন।

রাজ্য সরকার মনে করছে, ভারী বৃষ্টির চেয়েও বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়ার ফলেই হাওড়া, হুগলি ও পশ্চিম মেদিনীপুর সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া ও পূর্ব বর্ধমানের রায়নাও একই ভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছে। বহু মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। ভেঙে পড়েছে রাস্তাঘাট ও ছোটখাটো সেতু। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে কৃষিতে। নবান্নের এক কর্তা বলেন, ‘‘কৃষিতে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। সরকার কী ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের সাহায্য করবে, তার রূপরেখা তৈরি করতেই জেলাশাসকদের কাছে দ্রুত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।’’ নবান্ন সূত্রের খবর, কেন্দ্রের জাতীয় বিপর্যয় ত্রাণ তহবিল থেকে পাওয়া ৩০০ কোটি টাকা রয়েছে রাজ্যের হাতে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হলেও ওই অর্থ নিয়েই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাইছে রাজ্য সরকার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Report Flood Nabanna নবান্ন
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE