প্রশান্ত মণ্ডল
জাল নোটের একটি মামলায় সে ‘মোস্ট ওয়ান্টে়ড’। তার হদিস পেতে ২৫ হাজার টাকা ইনাম ঘোষণা করেছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। তার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয় গত বছর এপ্রিলে। প্রায় আড়াই বছর ধরে পালিয়ে বেড়ানো, মালদহের প্রশান্ত মণ্ডলকে শেষমেশ সোমবার রাতে এনআইএ গ্রেফতার করেছে। গোয়েন্দাদের দাবি, প্রশান্ত আন্তঃরাজ্য জাল নোট পাচার চক্রের এক পাণ্ডা। এত দিন সে গুজরাত, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেড়াচ্ছিল।
এনআইএ সূত্রের খবর, প্রশান্ত মণ্ডলের বাড়ি বৈষ্ণবনগরের সুখপাড়া গ্রামে। সে বৈষ্ণবনগরে ফিরে এসেছে বলে সম্প্রতি খবর মেলে। ফাঁদ পেতে সোমবার রাত ১০টা নাগাদ ওই এলাকার কুমিরা বাজার থেকে তাকে ধরা হয়। মঙ্গলবার ধৃতকে কলকাতার এনআইএ আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক প্রসেনজিৎ বিশ্বাস ধৃতকে সাত দিন এনআইএ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রশান্ত জাল নোটের যে মামলায় অভিযুক্ত, তারই এক বিচারাধীন বন্দি, রামেশ্বর সাহু রবিবার এসএসকেএম হাসপাতালে মারা গিয়েছে।
এই মামলায় এক জন বাংলাদেশি-সহ মোট ১১ জনকে চার্জশিট দিয়েছে এনআইএ। তাদের এক জন, ঝাড়খণ্ডের উত্তমকুমার সিংহের কাছ থেকেই এই চক্রে প্রশান্ত মণ্ডলের ভূমিকার কথা জানা যায়। গোয়েন্দারা জানান, এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ও চক্রের চাঁই, বাংলাদেশের নাগরিক মোজাম্মেল হকের নির্দেশে সীমান্ত দিয়ে মালদহে চোরাপথে ঢোকা জাল নোট বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হতো। প্রশান্ত সেই ব্যাপারে বড় ভূমিকা নিয়েছিল।
২০১৫-র ২৬ মে মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানে ওড়িশার সুশান্ত সাহু নামে এক যুবককে ১০ লক্ষ এক হাজার টাকার জাল নোট-সহ গ্রেফতার করার পরেই জাল নোট চক্রের বিষয়টি সামনে আসে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy