প্রতীকী ছবি।
স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) পাহাড়ে ছ’টি ‘স্পর্শকাতর’ মামলার তদন্ত শুরু করছে। শুক্রবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে এনআইএ-কে এ ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়েছে।
রবিবার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে গুরুঙ্গের সই করা একটি প্রেস বিবৃতি জারি করা হয়েছে। সেখানে এনআইএ-র পাশাপাশি আন্দোলনের সময় গুলিতে মৃতদের তো বটেই এসআই অমিতাভ মালিকের খুনের ঘটনারও সিবিআই তদন্ত দাবি করা হয়েছে। সেই মামলাও এনআইএ তদন্ত করবে।
আরও পড়ুন: এলেন না গুরুঙ্গ, ব্যস্ত নয় কেউই
কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন কোনও ভাবেই এনআইএ-কে সাহায্য করতে রাজি হচ্ছে না বলেই পাহাড় সূত্রে খবর। দু’দিন আগেই রাজ্য সিআইডি এডিজি রাজেশ কুমারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার পিছনেও এনআইএ-র তদন্তে নামার ভূমিকা রয়েছে বলে পুলিশ মহলের একাংশের খবর। নবান্ন মনে করছে, বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় সিআইডি তদন্ত ঠিক মতো করতে পারেনি। বিমল গুরুঙ্গ সহ দোষীদের গ্রেফতার করতেও সিআইডি ব্যর্থ হয়েছে। সে কারণেই কেন্দ্র এনআইএ-র হাতে তদন্ত তুলে দিতে পারল বলে নবান্নের ধারণা। আর সেই কারণেই সিআইডির মাথা বদল হয়েছে বলে কেউ কেউ মনে করছেন।
অগস্ট থেকে পাহাড়ে পরপর চারটি বোমা বিস্ফোরণের তদন্ত করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এ ছাড়া, ঘটনাস্থল থেকে বিপুল
অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধারের ঘটনারও তদন্ত করতে চায় এনআইএ। সিকিমের নামচিতে রাজ্য পুলিশের অভিযানে এক গাড়ি চালকের মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনায় সিকিম পুলিশ কালিম্পংয়ের পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়। এনআইএ সেই মামলাও নিজে থেকেই হাতে নিয়ে নেবে। এনআইএ-র এক মুখপাত্র জানান, চলতি বছরে দায়ের হওয়া দার্জিলিং সদর থানার ১৮২ নম্বর, লোধানা থানার ৮ নম্বর, সুখিয়াপোখরি থানার ২১ নম্বর, রঙলি রঙলিয়তের ৪৩ নম্বর, পাতলেবাস এনকাউন্টারের ঘটনায় দায়ের হওয়া ২১৩ নম্বর এবং কালিম্পং থানার ২২৩ নম্বর মামলা কেন্দ্রীয় সংস্থা তদন্ত করবে। দরকার হলে অন্য মামলাও নেওয়া হতে পারে।
ইতিমধ্যে এনআইএ অফিসারেরা দার্জিলিং পৌঁছেছেন। সিআইডির কাছে মামলাগুলির ব্যাপারে খোঁজখবরও করেছেন। কিন্তু সিআইডি কেন্দ্রীয় সংস্থাকে কোনও এফআইআর দিতে রাজি হয়নি বলেই খবর। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে সে ব্যাপারে মৌখিক রিপোর্টও করেছে এনআইএ। পাহাড়ে গিয়ে আদালত এবং স্থানীয় সূত্রে এনআইএ সংশ্লিষ্ট মামলার এফআইআরের প্রতিলিপি সংগ্রহ করেছে।
কিন্তু পুলিশের একাংশের মতে, পাহাড়ে যে সব মামলায় ইউএপিএ বা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার মতো ধারা লাগানো হয়েছে, সে ক্ষেত্রে মামলাগুলি এনআইএ নিতে পারে। রাজ্যের কোনও সম্মতি এ ক্ষেত্রে লাগে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy