বৃহস্পতিবারের লালবাজার অভিযানে রূপা ও লকেট। —ফাইল চিত্র।
অমান্যের আন্দোলনে বামেদের কাছে খাওয়া গোল জামিন পর্বে শোধ করল বিজেপি।
২২ মে বামেদের নবান্নে চলো কর্মসূচিতে ১৮২ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সে দিন রাতেই ১৭০ জন পুলিশের কাছে থেকে জামিন নিয়ে বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। তার মধ্যে ছিলেন সমস্ত নেতারা। বাকি ১২ জন কর্মীকে পুলিশ পরের দিন আদালতে পেশ করেছিল।
কিন্তু বৃহস্পতিবারের লালবাজার অভিযানে যে ১৩৪ জন বিজেপি নেতা-কর্মীকে পুলিশ আটক করেছিল, তাঁরা একসঙ্গে লক-আপ থেকে বেরনোর জন্য জেদ ধরে বসেন। কোনও সাধারণ কর্মীকে পুলিশের হাতে রেখে কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিংহরা সে দিন বাড়ি ফিরতে রাজি হননি। তার জেরে শুক্রবার সেই ১৩৪ জনকে একসঙ্গে আদালতে পেশ করতে হয় কলকাতা পুলিশকে। সাত জন বাদে বাকিদের জামিন দিয়েছে আদালত।
রাতভর বিজেপি নেতা-কর্মীরা পুলিশি হেনস্থার প্রতিবাদে কলকাতা, হাওড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, শিলিগুড়িতে বিক্ষোভও দেখায় বিজেপি। ফলে আন্দোলন পর্বের পরও তার রেশ ধরে রাখতে বিজেপি অনেকটাই সক্ষম হয়েছে বলে রাজনৈতিক মহলের মত। ইদানীং গ্রাম-শহরে বামকর্মীরাই বিজেপিতে নাম লেখাচ্ছেন। বিজেপি নেতাদের গ্রেফতারির ক্ষেত্রে ‘সাম্যবাদী’ নীতি দেখে সেই লাল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানো কর্মীরা ভরসা পাবে বলে দাবি বিজেপির।
এ দিনের জামিন পর্বে পুলিশের যুক্তি মানেনি আদালত। ওসি-র গাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনায় সাত বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করেছিল কলকাতা পুলিশ। ওই ঘটনায় সাত অভিযুক্তকে জামিন দেন বিচারক। বিজেপির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজির যুক্তি ছিল, ওই সাত জনই যে গাড়িতে আগুন লাগিয়েছেন তার প্রমাণ পুলিশ দিতে পারে নি। সরকারি আইনজীবী স্নেহাংশু ঘোষ আদালতে অভিযোগ করেন, সরকারি সম্পত্তিতে আগুন লাগিয়েছেন অভিযুক্তরাই। তা শুনে বিচারক প্রশ্ন করেন, এফআইআরে এ কথা থাকলেও পুলিশ সেই অনুযায়ী ধারা প্রয়োগ করেনি কেন? সেই কারণেই অভিযুক্তদের দু’হাজার টাকার বন্ডে জামিনে মঞ্জুর করেন বিচারক। যদিও পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ার অভিযোগে সাত অভিযুক্তকে ২৯ মে পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।
কলকাতা পুলিশ অবশ্য বিজেপির ‘বড়’ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলাই করেনি। গোলমাল যাতে না হয় সেই সতর্কতা নিতেই নেতাদের আগাম গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশের দাবি। রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, লকেট চট্টোপাধ্যায়দের দাবি, সেন্ট্রাল লক- আপে ন্যূনতম সুবিধাও পাননি তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy