বিধানসভার অলিন্দে নকল অধিবেশন এর আগেও করেছে বিরোধী বাম-কংগ্রেস। সোমবার সেই নকল অধিবেশনে যুক্ত হল নাট্যাভিনয়। রীতিমতো চিত্রনাট্য তৈরি করে মহড়া দিয়ে সেই নাটকে অভিনয় করলেন বাম ও কংগ্রেস বিধায়কেরা। নাটক করে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করার পাশাপাশি ‘প্রতিবাদ’ জানিয়ে অধিবেশনের শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপনেও গরহাজির থাকল বিরোধী এই দুই দল।
ধন্যবাদ জ্ঞাপনে অবশ্য বিরোধীর তরফে একমাত্র বিজেপিই হাজির ছিল এ দিন বিধানসভায়। সেই উপস্থিতিকে ‘ধন্যবাদ’ জানাতে কসুরও করেননি পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই ধন্যবাদের জবাবে ‘ডবল ধন্যবাদ’ জানিয়েছেন বিজেপির বিধায়ক ও রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁদের দু’জনেরই বক্তব্য, ধন্যবাদ পর্বে গরহাজির থেকে শিষ্টাচার ভঙ্গ করেছে বাম ও কংগ্রেস। বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান এবং বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর পাল্টা যুক্তি, অনাস্থা-সহ কোনও প্রস্তাবই শাসক পক্ষ না মানায় অধিবেশন বয়কট করা হচ্ছে। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘বিরোধীদের অধিকার কেড়ে নেওয়ার বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদকে সমালোচনা করে বিজেপি বুঝিয়ে দিল যে এখানে তারা তৃণমূলের বি-টিম! তৃণমূল তো টানা অধিবেশন এবং সরকারি বৈঠক বয়কট করত। তাদের মুখে শিষ্টাচারের কথা মানায় না!’’
বামেদের নবান্ন অভিযানের প্রেক্ষাপটে এ দিন অধিবেশনের বিরতিতে ‘অভিযান’ নাটক করে বাম ও কংগ্রেস। সেখানে প্রশ্ন উঠল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনঘন দিল্লি-যাত্রা নিয়ে। শাসকের বিরুদ্ধে পথে নেমে প্রতিবাদ জানাতে মিছিলে হাঁটতে হাঁটতেই নাটকের কুশীলবেরা এক সময় পৌঁছে যান নবান্ন অভিযানে। তবে তার আগেই পুলিশ মিছিলে লাঠি চালিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তৃণমূলের প্রথম সারির এক নেতার কটাক্ষ, ‘‘কংগ্রেস-সিপিএম মানুষের কাছে তো নেই। তাই এ বার নাটকেই অভিনয় করতে হবে ওদের।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy