মুখ্যমন্ত্রীর সভায় ব্যবহার করা যাবে না মোবাইল ফোন।
নিরাপত্তার ফাঁক এড়াতে ভিআইপি সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদের মোবাইল ফোনের ব্যবহারে বসতে চলেছে নিষেধাজ্ঞা। প্রশাসনের অন্দরের খবর, শুক্রবার উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদে মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থল ঘুরে দেখেন এডিজি (আইবি) সঞ্জয় চন্দ্র। তার পরেই সরকার এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে বলে খবর।
বৃহস্পতিবার হেমতাবাদের সভামঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সরাসরি পৌঁছে গিয়েছিলেন এক তরুণী। পুলিশ সূত্রের ব্যাখ্যা, প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, মঞ্চে ওঠার যে দু’টি পথ ছিল, সেটির একটিতে নিরাপত্তারক্ষীদের কোনও উপস্থিতিই ছিল না। তার কারণের ব্যাখ্যায় পুলিশ কর্তারা জেনেছেন, অপর দিক থেকে আরেকজন তরুণী মঞ্চে ওঠার চেষ্টা করছিলেন বলে তাঁকে আটকাতে ব্যস্ত ছিলেন মহিলা পুলিশকর্মীরা। একটি দিকে তাই কোনও মহিলা নিরাপত্তাকর্মী ছিলেন না। কিন্তু এই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হচ্ছেন না প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা।
বরং অনুসন্ধান করতে গিয়ে পুলিশকর্তাদের অনেকেই মনে করছেন, মোবাইল ফোনের ব্যবহারে মনোঃসংযোগ বেশি থাকার কারণে নিরাপত্তার মূল কাজটি বিঘ্নিত হয়েছিল। সেই কারণে ভবিষ্যতে মুখ্যমন্ত্রীর মতো ভিআইপিদের নিরাপত্তার মূল দায়িত্বে (প্রকাশ্য সভার মঞ্চ সংলগ্ন এলাকায়) যাঁরা থাকবেন, তাঁদের মোবাইল ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা বসতে চলেছে বলে খবর। পাশাপাশি, এখনকার তুলনায় মহিলা নিরাপত্তাকর্মীর সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে পুলিশ।
তবে মুখ্যমন্ত্রীর এবারের সফরে নিরাপত্তা-গলদের আরও একটি উদাহরণ রয়েছে। জেলা সূত্রের খবর, গত বুধবার দক্ষিণ দিনাজপুরের রায়গঞ্জে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে ছিলেন মুখ্যসচিব-সহ প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা। মুখ্যমন্ত্রী বেরিয়ে যাওয়ার ঠিক পরেই সাধারণের জন্য থাকা ব্যারিকেড খুলে দেওয়া হয়। সেই ভিড়ের মধ্যে পড়ে যান মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব-সহ অন্যান্য আমলা। ইষৎ ধাক্কাধাক্কিও সামলাতে হয় তাঁদের। শেষপর্যন্ত বিষয়টি পুলিশের নজরে এলে সেই ভিড় থেকে আমলাদের বের করে আনা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy