Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
কাটোয়া

জমি কেনা পাকা করল এনটিপিসি

কাটোয়ায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়তে চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি জমি কেনার অনুমোদন দিয়ে বাড়তি ৪২ কোটি টাকা মঞ্জুর করল এনটিপিসি-র পরিচালন পর্ষদ। সংস্থার চেয়ারম্যান অরূপ রায়চৌধুরী বলেছেন, ‘‘হ্যাঁ বোর্ড অনুমোদন দিয়েছে।’’ তবে দেড়শো একর জমি কিনতে হলে এ রাজ্যে বলবৎ জমির ঊর্ধ্বসীমা আইনের ১৪ওয়াই ধারায় ছাড় পেতে হবে। এ নিয়ে শুনানির জন্য আজ, শুক্রবার নবান্নে আসছেন সংস্থার প্রতিনিধিরা। ফলে, জমি কিনে বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ শুরুর পথে কার্যত কোনও বাধা রইল না বলে বিভিন্ন মহল মনে করছে।

সৌমেন দত্ত
বর্ধমান শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০১৫ ০৪:০২
Share: Save:

কাটোয়ায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়তে চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি জমি কেনার অনুমোদন দিয়ে বাড়তি ৪২ কোটি টাকা মঞ্জুর করল এনটিপিসি-র পরিচালন পর্ষদ। সংস্থার চেয়ারম্যান অরূপ রায়চৌধুরী বলেছেন, ‘‘হ্যাঁ বোর্ড অনুমোদন দিয়েছে।’’ তবে দেড়শো একর জমি কিনতে হলে এ রাজ্যে বলবৎ জমির ঊর্ধ্বসীমা আইনের ১৪ওয়াই ধারায় ছাড় পেতে হবে। এ নিয়ে শুনানির জন্য আজ, শুক্রবার নবান্নে আসছেন সংস্থার প্রতিনিধিরা। ফলে, জমি কিনে বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ শুরুর পথে কার্যত কোনও বাধা রইল না বলে বিভিন্ন মহল মনে করছে।

এনটিপিসি-র একটি সূত্রের খবর, সরকারি প্রকল্পের জন্য সরাসরি জমি কেনা নিয়ে গোড়ায় সংস্থার অন্দরে যথেষ্ট সংশয় ও মতপার্থক্য ছিল। কেননা এর আগে গোটা দেশে তারা যত প্রকল্প গড়েছে, সবই অধিগৃহীত জমিতে। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে সংস্থার পরিচালন পর্ষদের বৈঠকে ১৯৭ একর জমি কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে আপাতত ১৫০ একর জমি কেনা হবে বলে কাটোয়ার কর্তারা জানিয়েছেন। এর পরেও সংস্থার শীর্ষ সূত্রে অবশ্য বলা হয়েছে, জমি কেনার ব্যাপারে রাজ্য সরকারের সাহায্য পেলে সব সময়ই ভাল। কারণ, সরাসরি জমি কেনার অভিজ্ঞতা সংস্থার নেই।

বৈঠকের পরে কাটোয়া প্রকল্পের জেনারেল ম্যানেজার অভিজিৎ সেন বলেন, “অবশেষে পরিচালন পর্ষদ কাটোয়া প্রকল্পের জন্য জমি কেনার অনুমোদন দিল। আগে কখনও কোনও প্রকল্পে এনটিপিসি এক লপ্তে এত জমি কেনেনি।” তিনি জানান, এ বার রাজ্য সরকার জমির ঊর্ধ্বসীমা শিথিল করলেই তাঁরা জমি কিনতে নামবেন। ভূমি দফতরের এক কর্তা বলেন, “সব ঠিকঠাক থাকলে হয়তো সামনের মন্ত্রিসভা বৈঠকেই ওঁদের আবেদন মঞ্জুর হয়ে যাবে।”

বাম আমল থেকেই কাটোয়ায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ার চেষ্টা চলছে। তার জন্য বামেরা ৫৫০ একর জমি অধিগ্রহণও করে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার জমি অধিগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সব থমকে যায়। শেষ পর্যন্ত নিজেদের রীতি ভেঙে সরাসরি চাষিদের থেকে জমি কেনার সিদ্ধান্ত নেয় এনটিপিসি। রাজ্য সরকার ১০০ একর জমি দিয়েছে। এখন ৭৯২ জন চাষির থেকে সরাসরি ১৫০ একর জমি কিনতে হবে এনটিপিসি-কে। সংস্থার আবেদনে সাড়া দিয়ে ৯৮ শতাংশেরও বেশি জমির মালিক জমি বিক্রির ইচ্ছাপত্রে সইও করেছেন। এনটিপিসি-র এক কর্তার দাবি, “জমি কিনতে অসুবিধা হবে না। চাষিরা তৈরিই আছেন।” স্থানীয় জমিমালিক সাগর বন্দ্যোপাধ্যায়, উজ্জ্বল বিশ্বাসেরা বলেন, “আর নিশ্চয়ই জমি নিতে দেরি করবে না এনটিপিসি। প্রথম থেকেই চাইছি, এই প্রকল্প গড়ে উঠুক।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE