Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

পুরনো পদ্ধতিতেও চলবে রেশন বিলি

রেলশহরের জনসংখ্যা সাড়ে তিন লক্ষ। অথচ কেন্দ্র ও রাজ্য মিলিয়ে খাদ্য সুরক্ষায় শহরের জন্য ডিজিটাল রেশন কার্ড এসেছে মাত্র ৯৫ হাজার। ক্ষোভ সামলাতে কার্ড বিলি বন্ধ রেখেছে খড়্গপুর পুরসভা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০২:৫১
Share: Save:

রেলশহরের জনসংখ্যা সাড়ে তিন লক্ষ। অথচ কেন্দ্র ও রাজ্য মিলিয়ে খাদ্য সুরক্ষায় শহরের জন্য ডিজিটাল রেশন কার্ড এসেছে মাত্র ৯৫ হাজার। ক্ষোভ সামলাতে কার্ড বিলি বন্ধ রেখেছে খড়্গপুর পুরসভা। মঙ্গলবার খাদ্য দফতর ও প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে পুর-কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যাঁরা কার্ড পাননি দ্রুত তাঁদের জন্য ‘৩ ইউ ফর্ম’ বিলি করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী যেহেতু নির্দেশ দিয়েছেন যে কোনও কার্ড থাকলেই রেশন মিলবে, তাই ক্ষোভ-বিক্ষোভ এড়াতে আগে এই ফর্ম বিলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা। সেই সঙ্গে এই প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত পুরনো পদ্ধতিতে শহরের মানুষ রেশন পাবেন বলেও বৈঠকে জানানো হয়েছে।

এ দিন বিশেষ বোর্ড মিটিং শেষে পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন সকলে রেশন পাবেন। আমরা তাই প্রাথমিকভাবে যাঁদের তালিকায় নাম নেই তাঁদের ৩ ইউ ফর্ম দেব। শহর জুড়ে ফ্লেক্সে প্রচারও হবে।’’ কিন্তু নতুন করে কার্ড না আসা পর্যন্ত রেশন বন্ধ থাকবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এই বিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ামক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “এখনও পর্যন্ত যে কার্ড এসেছে তা বিলি করতে বলা হয়েছে। আর যাঁরা কার্ড পায়নি তাঁদের ফর্ম বিলি করবে পুরসভা।’’ প্রত্যেক কাউন্সিলরকে রেশন কার্ড প্রাপকের তালিকা দেখে ওয়ার্ডে যাঁরা কার্ড পাননি, তাঁদের ফর্ম বিলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কেন্দ্রের নিয়ম অনুযায়ী শহরের ৫০ শতাংশ মানুষের ডিজিটাল রেশন কার্ড পাওয়ার কথা। রাজ্যের খাদ্য সুরক্ষাতেও রেশন কার্ড আসার কথা ছিল। কিন্তু রাজ্য-কেন্দ্র মিলিয়ে পর্যাপ্ত সংখ্যক কার্ড আসানে। ক্ষোভ সামলাতে কার্ড বিলি বন্ধ করে দিয়েছিল পুরসভা। পুরসভার উপর চাপ বাড়াচ্ছিল বিরোধীরাও। চাপের মুখে খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বঞ্চিতদের জন্য ফর্ম বিলির কথা বলেন পুরপ্রধান। কিন্তু বিরোধী কংগ্রেস কোন পদ্ধতিতে ফর্ম বিলি করা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। পুরনো পদ্ধতিতে রেশন চালুর দাবিও জানানো হয়।

এ দিন বৈঠকের গোড়া থেকে কংগ্রেস ও তৃণমূল কাউন্সিলরদের মধ্যে বাদানুবাদ হয়েছে। মহকুমাশাসক ও জেলা খাদ্য নিয়ামকের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। ঠিক হয়, রাজ্যের নিয়মে রেলশহরের জন্যও চার ধরনের ফর্ম (৩ ইউ, ৪ ইউ, ৫ ইউ ও ৬ ইউ) বিলি করা হবে। মহকুমাশাসক সঞ্জয় ভট্টাচার্য জানান, যাঁদের কার্ড আসেনি তাঁদের আপাতত পুরনো পদ্ধতিতে রেশন দেওয়ার একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে। নতুন কার্ড ও ফর্ম বিলি দ্রুত করতেও বলা হয়েছে। এ দিন বৈঠকের পরে বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের রবিশঙ্কর পাণ্ডে বলেন, “আমরা বারবার রেশন চালু রাখার দাবি জানিয়েছিলাম। পুরসভায় বৈঠকে সেই বিষয়টি ফলপ্রসূ হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE