ফাইল চিত্র।
নীরব মোদী নিয়ে আপাতত নীরবতাই বজায় থাকল বিধানসভায়!
পিএনবি-কেলেঙ্কারি নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা চেয়ে বিরোধী কংগ্রেস এবং বাম যৌথ ভাবে প্রস্তাব জমা দিয়েছিল। সেই আলোচনা হলে পিএনবি-প্রতারণায় অভিযুক্ত মেহুল চোক্সীর সঙ্গে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের ছবি নিয়ে বিধানসভায় হইচই করার প্রস্তুতিও ছিল বিরোধীদের। কিন্তু পিএনবি-কাণ্ড বিচারাধীন বিষয়, এই যুক্তি দেখিয়ে এ নিয়ে আর এগোতেই চাইছে না সরকার পক্ষ! বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান এবং বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার বিধানসভার কার্য উপদেষ্টা (বিএ) কমিটির বৈঠকে প্রথমে বলা হয়, পিএনবি-কেলেঙ্কারি বিচারাধীন বিষয়। সুতরাং, এ নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা করা যাবে না। পরে বিরোধীরা ‘বিচারাধীন বিষয়’-এর যুক্তিকে চ্যালেঞ্জ করায় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তিনি বিষয়টি দেখবেন।
সরকার পক্ষের এমন অবস্থানের ফলে কংগ্রেস এবং বামফ্রন্ট বলার সুযোগ পেয়েছে, ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারি থেকে শুরু করে সাম্প্রদায়িকতা— নানা বিষয়ে বিজেপি বিরোধিতার সুর শোনা গেলেও আসলে তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপি-র গোপন আঁতাঁত আছে। মান্নানের বক্তব্য, ‘‘কেন্দ্রের যেমন ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারি, রাজ্যের তেমনই চিট ফান্ড কেলেঙ্কারি। নীরব-কাণ্ড নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা করতে দিলে সে সব কথাও উঠে আসবে। সেটা বোঝে বলেই শাসক পক্ষ বিচারাধীন বিষয় বলে ওই আলোচনা এড়িয়ে যেতে চাইছে।’’ বিরোধী দলনেতা বলেন, আলোচনা করতে দিলে গোটা দেশে বার্তা যেত— পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় শাসক-বিরোধী একসঙ্গে ব্যাঙ্ক-কেলেঙ্কারির কড়া প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু তৃণমূল সেটা হতে দেবে না। তাঁর অভিযোগ, ওদের ‘গোপন আঁতাঁত’ আছে।
সুজনবাবু বলেন, ‘‘কেন্দ্রের শাসক বিজেপি-কে চেপে ধরার জন্য যে যৌথ সংসদীয় কমিটির (জেপিসি) দাবি তুলেছে বিরোধীরা, তাতে যোগ না দিয়ে তৃণমূল আসলে বিজেপি-কে বার্তা দিল, তোমরা এগিয়ে চল, বিপদে পড়লে আমরা পাশে আছি।’’
তৃণমূল নেতৃত্বের অবশ্য ব্যাখ্যা, জেপিসি আসলে ‘জয়েন্ট পিসফুল কোল্ড স্টোরেজ’। অর্থাৎ, যৌথ শান্তিপূর্ণ হিমঘর। ওই কমিটিতে কোনও বিষয় গেলে তা আসলে ঠান্ডা ঘরে চলে যায়। সেই কারণেই তাঁরা ওই কমিটিতে যোগ দেননি। কিন্তু সুজনবাবুর পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘আগে তো ওঁরাই কথায় কথায় জেপিসি চাইতেন। তখন কি নাবালক ছিলেন?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy